দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে অক্ষম জেলা সভাপতি। উপরন্তু বাড়ছে কোন্দল। এমনই অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা রঘুনাথপুর ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতির। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে পদত্যাগ শতাধিক তৃণমূল কর্মীর। লোকসভা ভোট ও বিধানসভা উপ নির্বাচনে বাংলায় দারুন ফল করেছে তৃণমূল। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে পরাস্ত করে গোটা বাংলা জুড়ে উঠেছে সবুজ ঝড়। তার পরেও মিটছে না দলীয় কোন্দল। জেলায় জেলায় দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসন্তোষের অভিযোগ দল ছাড়ার হিড়িক। এমনই ছবি দেখা গেল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে।
জেলা সভাপতি অযোগ্য। দলে গোষ্ঠী কোন্দল তো মিটছেই না উপরন্তু বাড়ছে কোন্দল। এমনই অভিযোগ তুলে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন রঘুনাথপুর ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মিহির কুমার বাউরি। অভিযোগ দলের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দলের কথা বারবার জানানো হলেও কর্ণপাত করেননি জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। আর সেই কারণেই লোকসভা ভোটে রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকে পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। পদত্যাগ পত্র ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানালেন ব্লক সভাপতি। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। সুযোগ বুঝে রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের আভ্যন্তরীন বিষয় বলে বিজেপির দাবি পুরোটাই কাটমানির খেলা।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতেও দেখা গেল রাজ্যের শাসকদলের বিবাদের ছবি। তৃণমূল পঞ্চায়েত সহ শতাধিক কর্মীর দলত্যাগ। ডেবরার রাধামোহনপুর তুরিয়া এলাকায় খোদ তৃণমূলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হলেন দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ বুথ কর্মীরা। জানা গিয়েছে এলাকায় তিনটি খাস জমি রয়েছে। অগোচরে খাস জমিগুলি জবর দখল হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ দলের লোক নয় বরং এলাকায় বিজেপি করেন এমন লোকেরাই জমি দখল করছেন। আর তাতে মদত জোগাচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। উচ্চ নেতৃত্বের গোচরে বিষয়টি আনা সত্ত্বেও তারা কোন কর্ণপাত করছেন না। শেষমেষ তৃণমূল কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দলীয় পতাকা নামিয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সহ তৃণমূল কর্মীরা। জেলায় জেলায় দলীয় কোন্দলে ছবি প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরে যে বিড়ম্বনা বাড়বে তা সন্দেহাতীত। ২০২৬ এর বিধানসভা ভোট খুব বেশি দেরি নেই। এই পরিস্থিতিতে দলের অন্দরে এই সমস্যাগুলি দ্রুত মেরামতির প্রয়োজন।
Discussion about this post