টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার খেলার প্রশংসা করেছিলেন তার দলের অধিনায়ক থেকে প্রায় সকলেই । তিনি নিজেও ভেবেছিলেন তিনি অনেক ওঠা পড়ার মধ্য দিয়ে গেলেও বিশ্বকাপে নিজেকে দলের প্রয়োজন মত মেলে ধরতে পেরেছেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ভারতীয় বোর্ড যে দল সেখানে পাঠিয়েছে সেখানে হার্দিকে অধিনায়ক তো দুর, তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহঅধিনায়ক ছিলেন, সেই পদটিও নেই তার। বিশ্বকাপ জেতার পরে রোহিত শর্মা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষনার পরে প্রায় সকলেই ধরে নিয়েছিলেন হার্দিকই হবেন ভারতের নতুন অধিনায়ক। কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়ে সূর্যকুমার যাদবকে টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে। স্বভাবতই সকলের মনে প্রশ্ন কেন হার্দিকের বদলে সূর্যকে দায়িত্ব দেওয়া হল? জবাব দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর।
অধিনায়ক হিসাবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ় খেলতে আজ রওনা দিয়েছেন ভারতীয় দল । তার আগে মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক আগরকরকে সবচেয়ে বেশি এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে যে, কেন হার্দিকের বদলে সূর্যকে অধিনায়ক করা হয়েছে। এব্যাপারে বোর্ডের যুক্তি কী তা পরিস্কার করেন আগরকার। তিনি বলেন, “আমরা এক দিনে অধিনায়ক নির্বাচক করিনি। অনেক দিন ধরে আলোচনা হয়েছে। সাজঘর থেকে খবর নেওয়া হয়েছে । তার পরেই নতুন অধিনায়ক হিসাবে সূর্যকে ভেবেছি।”
আগরকারের এই কথায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সাজঘরে হার্দিকের ভাবমূর্তি খুব একটা ভাল নয়? সতীর্থদের সঙ্গেও কি উদ্ধত্য দেখিয়ে চলেন ? সেই জন্যই কি সূর্যকে বেশির ভাগ ক্রিকেটার অধিনায়ক হিসাবে দেখতে চেয়েছেন? সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে জানাননি আগরকার। তবে তিনি এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা ভেবেই সূর্যকে অধিনায়ক করা হয়েছে। আগরকার বলেন, “আমাদের হাতে সময় আছে। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দু’বছর পরে। আশা করি সূর্য ভাল ভাবে নেতৃত্ব দেবে।”
পাশাপাশি হার্দিকের চোট পাওয়ার প্রবণতার কথাও টেনে এনেছেন আগরকার। তিনি বলেন, “হার্দিক দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। কিন্তু ওর ফিটনেসের সমস্যা আছে। ও খুব চোটপ্রবণ। সূর্য অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য। ওর ক্রিকেট বুদ্ধি যথেষ্ট ভাল। আশা করছি ওকে প্রায় সব ম্যাচেই পাওয়া যাবে।”
চোট সারিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পরে আইপিএলে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন হার্দিক। রোহিতকে সরিয়ে তাঁকে অধিনায়ক করায় মুম্বাই টিমটাই তাদের স্পিরিট হারিয়ে ফেলেছিল,শুধু তাই নয় তাদের হার দুঃখ না দিয়ে আনন্দ দিয়েছি সমর্থকদের, সমাজ মাধ্যমে এমন ঘটনাও দেখা গেছে। আইপিএলে খারাপ খেলার পরে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা হবে কিনা তা নিয়েও অনেকের মনে সন্দেহ ছিল, বিশেষ করে তিনি রোহিতের সঙ্গে যে ধরেনের ব্যবহার করেছেন তার পর বিশ্বকাপ দলে রোহিত তাকে চাইবেন কিনা তা নিয়েও অনেকের মনে নানা রকম প্রশ্ন জেগেছিল । তবে শেষ পর্যন্ত জায়গা পান তিনি।শুধু তাই নয় সহ-অধিনায়কও করা হয়। কিন্তু বিশ্বকাপের পরে আর হার্দিকের নেতৃত্বে আস্থা রাখল না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এখনও পর্যন্ত মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির তরফ থেকে কোন দুঃসংবাদ তার জন্য নেই তবে মুম্বাই-এর অধিনায়ক থাকলেও জাতীয় দলে সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবেই খেলতে হবে তাঁকে। এবং ভবিষ্যতে যে তাকে আর কোনদিন অধিনায়ক করা হবে এমন আশা করেন না তিনি নিজেও।
Discussion about this post