সোমবারই রাজ্যের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর সেখানে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রও রয়েছে। এই কেন্দ্রে তৃণমূল বা বিজেপির পক্ষে কে প্রার্থী হবেন, তাই নিয়েই শুরু হয়েছিল কোন্দল। প্রার্থী বাছাইয়ের পাশপাশি প্রচারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি।
এবার বাগদার বিধানসভা এলাকার উন্নয়নের জন্য এই কেন্দ্র থেকে একজন মতুয়া প্রার্থী কে দাঁড় করাবার দাবি তুললেন তৃণমূল পন্থী মতুয়াদের একাংশ।
তাদের দাবি এর ফলে মতুয়াদের ও বাগদার উন্নয়ন সম্ভব হবে। মঙ্গলবার এই নিয়ে বাগদা ব্লক মতুয়া মহাসংঘের হেলেঞ্চা হাইস্কুল সংলগ্ন মন্দিরে মতুয়া ভক্ত ও কর্মকর্তারা একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠক থেকে তারা এমনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মতুয়া মহা সংঘের সভাপতি তথা অন্যান্য সদস্যরা বলেন ‘বনগাঁ লোকসভার নির্বাচনে, ভোটের নিরিখে তৃনমূলের পরাজয় হয়েছে।আমরা চাই এই বিধানসভা ভোটে বাগদা কেন্দ্রটি জিতে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে। সে কারণেই আমরা বাগদার ভূমিপুত্র এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে তৃণমূল পার্টি করার দাবি জানাচ্ছি। অপরদিকে তৃনমূল পন্থী ওই মতুয়া গোষ্ঠীর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিজেপি।
অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী নিয়ে বিতর্কিত পোষ্টার বাগদায়। তৃণমূলও প্রার্থী করা নিয়ে বিশেষ দাবি রাখছে। আর এই নিয়েই আপাতত সরগরম বাগদা বিধানসভা এলাকা। আপাতদৃষ্টিতে এই কেন্দ্রে দুপক্ষের কর্মকান্ডে দুপক্ষেরই গোষ্ঠীবিবাদ প্রকাশ পেল উপ নির্বাচনের প্রাককালে। উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পরের দিন সকালেই বাগদার আষাঢ়ু, জিয়ালা মোড়, চুয়াটিয়া সহ একাধিক জায়গায় পোষ্টার চোখে পড়ল সাধারণ মানুষের। আর সেই পোষ্টারকে ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।সেই পোষ্টারগুলি একটিতে বিজেপির নাম করে লেখা হয়েছে, ‘বাগদা বিধানসভায় সুদখোর হারাধন হালদারকে আমরা চাই না।’ অন্য আর একটি পোষ্টারে একইভাবে বিজেপির নাম করে লেখা হয়েছে, ‘বাগদা বিধানসভায় তৃণমূলের দালাল দুলাল বরকে আমরা চাই না।’ কিন্তু এই পোষ্টার কারা লাগালো? তাই নিয়েই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
Discussion about this post