শান্তিনিকেতন এ বহু আকর্ষনের মধ্যে সোনাঝুরির হাট অন্যতম একটি প্রধান আকর্ষণ পর্যটকদের। সপ্তাহে ৭দিন ওই হাট বসে আর সেখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পরার মতো। তবে এবার থেকে সময় বুঝে সেখানে পাড়ি দিতে হবে। কারণ আর সাত দিন নয়, সপ্তাহে মাত্র চারদিন খোলা থাকবে সোনাঝুরির হাট ।
সম্প্রতি বন দপ্তরের তরফে সোনাঝুরিতে নিজেদের জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে জঙ্গল রক্ষা নিয়ে স্পষ্ট বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। আর তখনই প্রশ্ন উঠেছিল সোনাঝুরি হাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা যাচ্ছে আপাতত সেই হাট সরানো হচ্ছে না। সোনাঝুরি জঙ্গলেই বসবে এই হাট। কিন্তু, বনদপ্তরের তরফে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
নির্দেশিকা গুলি হলো সপ্তাহে আর সাত দিন নয় মাত্র চার দিন বসবে এই হাট শুক্র,শনি, রবি ও সোমবার। সপ্তাহের বাকি তিনদিন মঙ্গল বুধ ও বৃহস্পতিবার জঙ্গল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং গাছ লাগানো হবে সেখানে। সেইসঙ্গে হাট কমিটিকে জানানো হয়েছে, জঙ্গলের ক্ষতি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এছাড়াও জঙ্গল এলাকাতে ১০হাজার গাছ রোপন করা সহ জঙ্গল থেকে মাটি চুরি ও গাছপালা নষ্ট না করা হয় সেই দিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে নতুবা নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত সোনাঝুরি হাট, গোয়ালপাড়ার কোপাই নদী-তীরে সারাবছর পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পরার মতো। এই হাটের মাধ্যমে হস্তশিল্পীদের রুটি-রুজি চলে। প্রতিদিন বহু মানুষে সেখানে যান এবং কেনাকাটা করে থাকেন। এবার সেই হাটের জন্যই সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ পর্যটকদের একাংশের। এখন বনাঞ্চল ছাপিয়ে রাস্তায় বিস্তৃত হয়েছে হাট। হাট সংলগ্ন রাস্তায় যানজট সামলাতে প্রশাসনকে তৎপর থাকতে হয়। তবে বনদপ্তরের পদক্ষেপে খুশি স্থানীয় হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা।
আজ থেকে ২০ বছর আগে কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী, হস্তশিল্পী ও আদিবাসীশিল্পীদের নিয়ে বনদপ্তরের জায়গায় সোনাঝুরির হাট শুরু হয়। সেই হাট এখন অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। বনদপ্তরের জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণের জেরে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পরিবেশপ্রেমীদের বক্তব্য জঙ্গল নষ্ট হচ্ছে। তাই জঙ্গল বাঁচাতে এবার হাট চারদিন খোলার নির্দেশ দিয়েছে বনদপ্তর।
Discussion about this post