চাকরিহারা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলি। এবার চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সরব বীরভূম জেলা বিজেপি। বীরভূমের ডিআই দফতরে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদে বিক্ষোভে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে চাকরি খুয়েছেন ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী এবং অশিক্ষক কর্মী। অভিযোগ, ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলটিতেই দুর্নীতি হয়েছিল। যারা দুর্নীতি করেছে তারা কেউ জেলে কেউবা বেলে রয়েছে, তাদেরই কর্মের ফল ভুগতে হচ্ছে যোগ্য, মেধাবীরা। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, চাকরি কারও যাবে না। এবার চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সরব বিজেপি। বীরভূমের ডিআই দফতরে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদে বিজেপি। এদিন সিউড়ির বড়বাগান মোড় থেকে মিছিল শুরু করা ডিআই দপ্তর পর্যন্ত যায় মিছিল। বিজেপির এই কর্মসূচি শুনে ডিআই অফিসে ছুটে আসেন এক চাকরিহারাও। ডিআই দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন ডিআই অফিস তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
সদ্য চাকরিহারা অর্পিতা ঘোষ বলেন, বিজেপির কর্মসূচি শুনেই ডিআই অফিসে ছুটে আসেন। তাঁর বাড়ি ডিআই অফিসের কাছেই বাড়ি, তাই তিনি মাইকিং শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। সদ্য চাকরিহারা অর্পিতা কথা বলেন বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে।
বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ডি আই ডি আই অফিসের মধ্যে নেই চাকরিবৃদ্ধির চক্র চলে তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ তাদের।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের নামে দুর্নীতি করেছে মমতার সরকার তাই সকলে একযোগে বলছে মমতা চোর। শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি হারানোর জন্য দায়ী একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Discussion about this post