স্কুলের জায়গা বিল্ডার্স দোকানকে ভাড়া দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের বিরুদ্ধে। পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ কাশিনগর হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় হাজার খানেক। রাস্তার পাশেই স্কুল। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় হাজার খানেক। প্রতিদিন স্কুল শুরু হতেই রাস্তার একপাশের জমিতে সারি দিয়ে দাঁড় করানো থাকে সাইকেলের পর সাইকেল। রাস্তার পাশের জমিতে প্রয়োজনবশত গাড়ি সাইডিং করতে সমস্যায় পড়তে হয় চালকদের। স্কুলে জায়গা থাকতেও এই হাল কেন? জানা যাচ্ছে স্কুলের জায়গা ভাড়া দেওয়া রয়েছে এক বিল্ডার্সকে। নির্ধারিত জায়গায় স্কুল পড়ুয়াদের সাইকেলের বদলে রাখা থাকে ইট, বালি, কাঁকর। অভিযোগ এক পঞ্চায়েত সদস্যের বদানুতায় এই কাজ করছে বিল্ডার্স।
স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুশান্ত কুমার মণ্ডলকে প্রশ্ন করতেই তিনি জানান এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। যা হচ্ছে সবই তার অজান্তে। অর্থাৎ পঞ্চায়েতের টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানেন না বলে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে যান।
প্রধানশিক্ষক টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানেন না বলে এড়িয়ে গেলেও গ্রামবাসীদের দাবি দক্ষিণ কাশিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের সদস্য তথা স্কুল কমিটির মেম্বার টাকার বিনিময়ে বিল্ডার্সকে দোকান ভাড়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রশ্ন করতেই অভিযুক্ত মেম্বার জবাব এড়িয়ে যান। পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও ধমক দেন তিনি।
স্কুলের মাঠেই একটি পুজোর আয়োজন করা হয়। তাই পুজোর সময় বেশ কিছু টাকা দিতে হয়। বললেন বিল্ডার্স তাপস পয়ড়া। সেই টাকা তিনি স্কুল নয়, পঞ্চায়েত সদস্যের হাতেই তুলে দেন। জানালেন বিল্ডার্স।
দাবি পাল্টা দাবি থেকে পরিস্কার স্কুল নয় মাঠ ভাড়া দেওয়ার টাকা নিচ্ছেন পঞ্চায়েত সদস্য। একটি সরকারি স্কুলের মাঠ প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া কি ভাবে ভাড়া দেন পঞ্চায়েতের মেম্বার? উঠছে প্রশ্ন। ঘটনাটি ক্যামেরার সামনে আসার পর আপাতত দেখার প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা।
Discussion about this post