তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এইবারে সাংসদের উপস্থিতিতে। চরমে পৌঁছতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালালেন সাংসদ।
এই ঘটনা ঘাটালে। যেখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কিল, ঘুষি, বাঁশ, লাঠিসোটা…কিছুই বাদ পড়ল না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। রবিবার দুপুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় অরবিন্দ স্টেডিয়ামে।
সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন আগেই ঘাটালের সাংসদ দেবকে বাদ দিয়েই ঘাটাল শিশু মেলা পরিচালনার কমিটি গঠিত হয়। যা তৈরি করেন শঙ্কর দোলুই। এই কমিটি বাদ দিতে বলেন সাংসদ দেব। নতুন করে কমিটি গড়ার কথা বলেন শঙ্কর দোলুইকে। নতুন করে বৈঠক করতেই ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ডাকা হয় সস্ত পক্ষকেই। উপস্থিত ছিলেন সকলেই। এমনকি হাজির ছিলেন দেবও। কিন্তু এই মেলার বৈঠককে কেন্দ্র করেই দু পক্ষের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। এমনকি চরম উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকি ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনাস্থলে থেকে খানিকটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দেব। কিন্তু শেষমেশ তিনি ঘটনাস্থল ছাড়েন।
সংবাদমাধ্যের মুখোমুখি হয়ে দেব জানান, এই মেলাটা হোক, আমরা সবাই চাই। এমনকি তিনি নিজেও এই মেলার সঙ্গে জড়িত থাকতে চান। তাই সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়ছিল। কিন্তু বৈঠক শেষে যা হল, তার জন্য তিনি অত্যন্ত দুঃখপ্রকাশ করেন।
যদিও দলের অন্দরের খবর, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতি কেন মুখোমুখি হতে হল, কার দোষ, সবটাই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও দেব এবং শঙ্কর দোলুইয়ের মধ্যে সংঘাত কোনও নতুন কিছু বিষয় নয়। এর আগেও বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে প্রার্থী হতে যখন দেব রাজি হন, তখন শঙ্কর দোলুইকে ডেকে সাবধান করেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি যেন একই রকম রয়েছে। এদিনের ঘটনা তা আরও একবার প্রমাণ করল।
Discussion about this post