পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে কলকাতার সঙ্গে এক আসনে জুড়ল বসিরহাটের নাম। সোমবার নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাবয় রাজ্য জুড়ে পৌরসভাগুলির বিভিন্ন দপ্তরের রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্টে ছিল পানীয় জল, হাউসিং এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্যে নিকাশীর মতো বিভাগগুলি। সেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্যা নিকাশর বিভাগে হাওড়া জেলার সদরের হাওড়া পৌর নিগম ও বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি পৌরসভা সহ ডালখোলা বা পানিহাটির মত পৌরসভাগুলি মুখ্যমন্ত্রীর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং তিনি এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দাও করেছেন পৌরমন্ত্রী সহ বিভাগীয় আধিকারিকদের। তবে, একেবারে উল্টো ছবি ধরা পড়ল বসিরহাট পৌরসভায়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্যস নিকাশী বিভাগে কলকাতা পৌর নিগমের সঙ্গে এক আসনে জায়গা করে নিল বসিরহাট পৌরসভা। যা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছাসের ছবি ধরা পড়লো বসিরহাটের ২৩টা ওয়ার্ল্ড জুড়ে। বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট পৌরসভার পৌরমাতা অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী বলেন, ২০২২ সালে পৌর বোর্ড গঠনের পর থেকেই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল শহর জুড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো। সেই মতই আমরা কাজ করেছিলাম।
সোমবার সব নজর ছিল নবান্নের দিকে। লোকসভা ভোটের পর সব পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ডাক পায়নি শুধু দুটি পুরসভা। ঝালদা ও তাহেরপুর। এই দুই জায়গাতেই তৃণমূল বিরোধী শক্তির দাপট। কিন্তু সরকারি বৈঠকে কেন এই দুই পুরসভা ডাক পেল না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিস্তর চর্চা। উঠছে সরকারি বৈঠকে ‘আমরা-ওরার’ অভিযোগ। কেন দুই পুরসভা ডাক পায়নি, এবার সেই বিষয়টি খোলসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। সোমবার নবান্ন সভাঘরে পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একেবারে অগ্নিশর্মা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। চেয়ারম্যান তো দূর, মন্ত্রী-বিধায়ক কাউকে রেয়াত করেনি। যাঁর কাজে যেখানে যেখানে আপত্তি রয়েছে, অসন্তোষ রয়েছে। ভরা সভায় সব উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Discussion about this post