ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহন চলছে বাংলায়। ভোটগ্রহন চলছে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে। এরমধ্যে ঝাড়গ্রামে হাতির উপদ্রপের জন্য এবার প্রায় ২০০টি বুথ হাতি প্রবণ ঘোষণা করেছিল জেলা প্রশাসন। শনিবার ভোটপর্ব চলাকালীন যাতে ভোটগ্রহন কেন্দ্রের আশেপাশে হাতি চলে আসতে না পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও রেখেছিল বন দফতর। কিন্তু এদিন ভোট চলাকালীন এক ভোটগ্রহন কেন্দ্রের কাছেই চলে এল রামলাল নামের এক হাতি। তাঁর হাবভাব দেখে মনে হল যেন ভোট দিতে এসেছে সে। তাঁকে বুথের আশেপাশে দেখে হুলুস্থুলু কাণ্ড ঘটল। খবর পেয়ে ছুটে আসে বন দফতরের কর্মীরা। তবে গজরাজ সে সব পাত্তা না দিয়ে ধীর গতিতে রাজ্য সড়ক পার করে জঙ্গলে ঢুকে যায়। ফলে তাঁর আর ভোট দেওয়া হল না।
ঝাড়গ্রামের জিতুশোল এলাকায় একটি হাতি প্রায়ই দেখা যায়। সে সকাল বিকাল একবার হলেও লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এলাকাবাসীর দাবি, খুব একটা ক্ষতি করে না ওই হাতিটি। ফলে এলাকার মানুষ তাঁর নাম রেখেছেন রামলাল। শনিবার ভোটের সকালে আচমকাই জিতুশোলের রাস্তায় উদয় হয় রামলালের। সকাল সকাল ভোট দিতে যাওয়ার সময় মাঝ রাস্তায় রামলালকে দেখে অনেকেই থমকে যান। ঝাড়গ্রাম-লোধাশুলির মধ্যে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে হাতিটিকে দেখে থমকে যায় যান চলাচল। হাতিটির অবস্থানের খুব কাছেই ছিল একটি ভোটগ্রহন কেন্দ্র। ফলে ওই এলাকায় রামলালকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। অনেকেই ভোট দিতে যাচ্ছিলেন, কেউ বা ফিরছিলেন। রাজ্য সড়কের ওপর হাতি দাঁড়িয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দুই দিকেই প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় পুলিশ এবং বন দফতরের কর্মীরা। রামলালও ধীর পায়ে রাজ্য সড়ক ধরে এগিয়ে যেতে থাকে। এরপর বন দফতরের কর্মীরা রামলালকে জঙ্গলের দিকে ফেরত পাঠায়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, হাতির আগমনে ভোটগ্রহন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়নি। তবে এলাকার মানুষদের দাবি, রামলাল প্রায় প্রতিদিনই সকাল-বিকাল একবার করে জিতুশোলে ঢুকে পড়ে। এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে নিজেই চলে যায়। মলয় মাহাত নামের এক ব্যক্তি সহাস্যে বলেন, আজ লোকসভা ভোট চলছে দেখে রামলালও হয়তো ভোট দিতে এসেছিল।
Discussion about this post