চোপড়া কাণ্ডে নয়া মোড়। ভিডিও ভাইরাল হওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন নির্যাতিতা। সেই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ ওই মহিলা। চোপড়া থানায় সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এবং বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, “আমার অজান্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যার দরুণ আমার সম্মানহানি হয়েছে। ভিডিও ভাইরাল করেছেন মহম্মদ সেলিম এবং বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” অন্যদিকে, বাম সমর্থকদের পাল্টা দাবি, শাসক দলের লোকেরা জোর করে ওই মহিলাকে দিয়ে এই বয়ান দিতে বাধ্য করেছে। একই দাবি করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশও। তাঁদের দাবি, ওই মহিলাকে বাধ্য করা হয়েছে। হয়তো প্রাণে মারার বা এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভাইরাল হয় চোপড়ায় গণপিটুনির একটি ভিডিও। ভিডিওয় দেখা যায়, মাটিতে ফেলে পেটানো হচ্ছে এক যুগলকে। কঞ্চি দিয়ে উন্মত্তের মতো চলছে মার। ভিড় করে দাঁড়িয়ে দেখছেন সবাই, কিন্তু বাধা দিচ্ছেন না কেউ। ৩০ জুন ভিডিওটি নিজের এক্স-হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম লেখেন, “সালিশি সভার নাম করে, অপরাধের বিচার করে শাস্তি দিচ্ছে তৃণমূলের পোষা গুন্ডা। তার ডাকনাম জেসিবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে এভাবেই বিচারব্যবস্থা ভেঙে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে চোপড়ায়।” এই ঘটনার জোরাল সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও। এরপরই এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার প্রতিবাদে গত ১ জুলাই চোপড়া থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। মহম্মদ সেলিম এবং অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। এই মামলার নথি সামনে আসার পরই রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল।
Discussion about this post