পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যের মানুষ, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের আরও দাবি সাধারণ মানুষ চাইছে যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে কিন্তু এ বিষয়ে কেন্দ্র কেন হস্তক্ষেপ করছে না সেই নিয়েও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। কারণ রাজ্য পুলিশ যেভাবে বিরোধীদের ওপর হামলা চালায় এবং প্রশাসন যেভাবে তাঁবেদারি করে তারপরও এই রাজ্যে এখনও গণতন্ত্র এর অস্তিত্ব আছে শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টের তৎপরতায়। হাইকোর্টের চাপে রাজ্যের শাসকদল।
কলকাতা হাইকোর্টের কান্ডারী প্রধান বিচারপতিরা এখনো পর্যন্ত নিরপেক্ষ থেকে সঠিক বিচার দিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের মানুষকে। সাম্প্রতিককালে যখন পুলিশ প্রশাসন সাধারন মানুষের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে তখন একমাত্র হাইকোর্টের বিচারপতিদের ভূমিকায় সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সক্রিয় ভূমিকায় তিন তিনটি সিদ্ধান্ত নিলেন আর তাতে রাজ্যের শাসক দল যে কিছুটা কোন ঠাসা হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর, নির্বাচনী নথি সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের । গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যে 29 টি আসনে জয়ী হলেও তারা প্রতিমুহূর্তে নির্বাচনীবিধি লংঘন করেছেন। এই নির্বাচনের ফলাফলে ডায়মন্ড হারবারে বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন মোট ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০ ভোট। এদিকে অভিষেকের ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী অভিজিৎ দাস প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল বিস্তর তফাৎ। দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ছিল প্রায় ৭ লক্ষ ১১ হাজার। অন্যদিকে সেখানকার সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন । তাই স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপির প্রসঙ্গ তুলে এবার বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হল।
এই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ঝুলে থাকার পর অবশেষে প্রায় সাত মাস পর এই মামলাটি এবার শুনানির পথে এলো , যা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য রাজ্য রাজনীতিতে।
এদিন মামলাকারী অভিজিৎ দাসের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য মামলা চলাকালীন জানান, “ডায়মন্ড হারবারে বিজেপিকে লোকসভা নির্বাচন করতেই দেওয়া হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থকরা পুরো নির্বাচনটাকেই নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছিল।’’ এই মামলা সম্পর্কে কি প্রতিক্রিয়া মামলাকারিয়া আইনজীবির শুনুন,,
অর্থাৎ তিনি আরও বলেন, ‘‘ প্রত্যেকটি ঘটনার সত্য সামনে আসতে সময় লাগে। যেমন সুপ্রিম কোর্টের স্কুল সার্ভিস কমিশন মামলা। এই মামলার সত্য উদঘাটন হোক এটাই আমরা চাই। “
মঙ্গলবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি গ্রহণ করেন। এবং এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে উঠতেই মামলাকারী লোকসভা নির্বাচনে ভোটের কারচুপি নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরছেন বলেই সূত্রের খবর।
Discussion about this post