ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় উত্তাল মুর্শিদাবাদ। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। এমনকি থেমে নেই কংগ্রেস ও সিপিএমও। এই পরিস্থিতিতে কেউ যাতে রাজনৈতিকমূলক উস্কানিতে পা না দেয়, তারই অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজনৈতিক মন্তব্য, একে অপরকে দোষারোপ দেওয়া এগুলি কিছুই থামছে না। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছেছে, সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ জগদাম্বিকা পাল। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে হিংসার ঘটনা বাড়ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মমতা সরকারের সুরক্ষায় এই ঘটনা ঘটছে। তিনি আরও বলেন, সরকার যখন এই সব কিছুতে উৎসাহ দিচ্ছে, তখন সাধারণ জনতাকে কে রক্ষা করবে? মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যে ওয়াকফ আইন কার্যকর হতে দেবেন না। যদি রাজ্য সরকার সাধারণ জনগণকে সুরক্ষা দিতে না পারে, অবিলম্বে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। কি বলছেন এই বিজেপি সাংসদ জগদাম্বিকা পাল শুনুন
মুর্শিদাবাদের ঘটনা সারাদেশে চলে আলোড়ন ফেলে দিচ্ছে। আর এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঠিক কি বলেছেন তিনি শুনুন
উল্লেখযোগ্যভাবে গত রবিবার মুর্শিদাবাদের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিশানা করেছিলেন। মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের ঘর থেকে বার করে নিয়ে শেষ করা হচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেছিলেন, হিন্দু জমির উপর হিন্দুদের অধিকার রয়েছে। এই বিষয়ে ঠিক কি বলেছিলেন তিনি..শুনুন
অর্থাৎ মুর্শিদাবাদের ঘটনায় দিকে দিকে রাজনৈতিক তরজা রজা যেমন চলছে, ঠিক একের ওপরের ওপর দোষারোপও চলছে। যদিও এই পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়েছে। তবে রেশ কাটেনি। এখনও বহু মানুষ ঘরছাড়া রয়েছেন। তারা কবে ঘরে ফিরে আসেন সেটাই দেখার।
Discussion about this post