সময় যত এগোচ্ছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে উঠে আসছে। বিগত দু বছরেরও বেশি সময় ধরে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। প্রকাশ্যে এসেছে টেট প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দুর্নীতির অভিযোগ। সব মিলিয়ে বাংলায় একের পর এক শিক্ষায় দুর্নীতির কাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল হয়ে রয়েছে। এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেক হেভিওয়েট জেলে রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার নাম জড়ালো তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠের। এদিকে গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই মামলায় শর্তসাপেক্ষ অনুব্রতর জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিমকোর্ট। তবে এখনই জেল মুক্তি হচ্ছে না অনুব্রত। কারণ ইডির মামলায় জামিন মেলেনি ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে।
অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সূত্রে দাবি, অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ ওই ব্যক্তির একাধিক বেসরকারি বিএড, ডিএলএড, নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে এবং সম্প্রতি ভিন রাজ্যেও ওই ব্যক্তি একটি মেডিক্যাল কলেজ খুলেছেন। ২০১১ সালের পর বেসরকারি বিএড ও ডিএলএড কলেজের মালিকদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় ওই সংগঠনের পদাধিকারী ছিলেন বীরভূমের আর এক তৃণমূল নেতা। এদিকে ওই সংগঠনের শুরু থেকে তার সদস্য অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ ওই ব্যক্তি। ওই পদে থাকা নেতাকে একাধিকবার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বীরভূমের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ২০১৭ সালে ওই নেতার পরিবর্তে ওই সংগঠনের সভাপতি হয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। বর্তমানে প্রাথমিকের মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তাপস। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুব্রত ঘনিষ্ঠের নাম বারবার উঠে এসেছে। ওই ব্যক্তি শুধু অনুব্রতই নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যেরও ঘনিষ্ঠ বলে দাবি সিবিআইয়ের।
Discussion about this post