লোকসভা নির্বাচন মিটতেই রাজ্যের জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। মারধর, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার এ বিষয়ে স্বত: প্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। কড়া ভাষায় রাজ্য এবং পুলিশ প্রশাসনকে কটাক্ষ করল রাজ্যের উচ্চ আদালত। বিচারপতি কৌশিক চন্দের মন্তব্য, ” বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখেছি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে এবং এটা বন্ধ করতে হবে।” বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “একমাত্র রাজ্য যেখানে ভোট পরবর্তী এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটেছে।
মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আদালত চুপ করে বসে থাকতে পারে না।” পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী ৫ বছর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। ভোটের ফলাফলের ঠিক পরে একাধিক অশান্তির অভিযোগ আসতে শুরু করে। নদীয়ার কালীগঞ্জে এক বিজেপি কর্মীর খুন ঘিরে আলোড়ন শুরু হয়। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। এমনকি, বৃহস্পতিবার, মামলার শুনানির সময়ও, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের যমুনা এলাকায় বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুরের খবর আসে। এক বিজেপি কর্মীর চায়ের দোকান ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ক্যানিংয়ে আর এক বিজেপি নেতার বাড়িতে ইটবৃষ্টির অভিযোগ শোনা যায়। হাওড়ার বাঁকড়ায় আবার সিপিএম বুথ এজেন্টের দোকান ভাঙচুর চালানো হয় বলেও খবর। শুধু শহরতলি নয়, কলকাতার নারকেলডাঙাতেও বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশকে যৌথভাবে অপারেশনের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেন, রাজ্যের কোন কোন জেলায় কী কী অভিযোগ জমা পড়েছে? কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তথ্য প্রমাণ আদালতে জমা দিতে হবে। অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ না করার জন্য পুলিশকে সতর্ক করেন বিচারপতি। আগামী সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আলাদা করে মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত
Discussion about this post