রাজ্য চিকিৎসকদের যৌথ সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফে বুধবার রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ওপিডি বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবে বুধবার রাজ্য জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতিতে জেলা থেকে জেলায় একটাই ছবি, সেই ছবি হয়রানির। আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে চার দিন ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা। বুধবার থেকে এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হল। যদিও হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা চালু করে দেওয়া হলেও রামপুরহাট গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ারা কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা জানিয়েছেন, দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন।
বুধবার সকাল থেকেই বন্ধ সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওপিডি পরিষেবা। তার জেরেই বিপাকে সাধারণ মানুষ। চিকিৎসা করাতে এসে ঘরে ফিরছেন অনেকে। কলকাতা আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক তিলোত্তমা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার সোচ্চার বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রর চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার joint প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন ৮ ঘণ্টা সরকারি ও বেসরকারি ওপিটি বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন। আর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এবার ইমার্জেন্সি পরিষেবা চালু রেখে বুধবার আন্দোলনে নামলেন চিকিৎসক সহ নার্স ও কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রর চিকিৎসকরা দীর্ঘক্ষণ হাতে মোমবাতি ও কালো ব্যাজ পরে থাকেন। নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসক পানিহাটিরই বাসিন্দা ছিলেন। আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচি পানিহাটি রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে। চিকিৎসক, নার্স ও অনান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগদান করলেন। এইভাবে দিনভর হয়রানির ছবি উঠে এল। প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাঝে বেকায়দায় সাধারণ মানুষ। কবে হবে এর শেষ? উঠছে প্রশ্ন।
Discussion about this post