বিজেপি করার অপরাধে ১১০ টি পরিবার বঞ্চিত আবাস যোজনার ঘর থেকে। প্রকৃত গরিব হওয়ার সত্বেও শাসক দলের কথায় প্রশাসন ১১০ জনের নাম হোল্ড করে রেখেছেন। অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা বিজেপি সমর্থক এমন ১১০ জন ব্যক্তির সঙ্গে বৈমাত্রিয় শুলভ আচরণের অভিযোগ। বিজেপি সমর্থকদের সাথে বৈমাত্রিয় শুলভ আচরণের করার অভিযোগ উঠলো শাসক দলের একাংশ সহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে ঘর পাওয়ার অনুপযুক্ত এমনই অভিযোগ করে শাসকদল এরপরেই তাদের নাম গুলো হোল্ডে করা হয়। প্রকৃত গরিব হওয়ার সত্বেও শাসক দলের কথায় প্রশাসন ঐ ১১০ জনের নাম হোল্ড করে রেখেছেন প্রশাসন। এমনকি এই ১১০ জনের আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন।
বিজেপির অভিযোগ, দেখে দেখে বিজেপির সমর্থকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো করা হয়েছে। কোন তথ্য প্রমাণ না দেখে, শুধুমাত্র শাসক দলের কথায় হোল্ড করে বৈমাত্র সুলভ আচরণ করছেন প্রশাসন । অথচ ঐ ব্যক্তিগুলো অধিকাংশ দিন দরিদ্র, দিনমজুর, যাদের পেশা মাছ কাংরা ধরা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। কারো মাটির ছোট ভাঙ্গা কারো বা বাড়িতে খড়ের চাল, কারো এডভেস্টাস, আবার কারো টালির ঘর।
বঞ্চিত অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের অভিযোগ তাদের ছেলেদের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে শাসক দলের কথায় কেটে দিয়েছে প্রশাসন। পুনরায় তদন্ত করে যাতে তারা ন্যায় বিচার পান তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি রেখেছেন।
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে শাসক দলের জেলা পরিষদের সদস্য উদয় হালদার বলেন সমস্ত প্রক্রিয়া হয়েছে সরকারী নিয়ম মেনেই। এখানে কোন দলের খোন ভুমিকেই নেই।
মথুরাপুর 2 নম্বর ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন জানালেন, গ্রাম সভার মিটিং করেই উপভুক্তাদের তালিকা ঠিক হয়েছে, এখানে বৈমাত্রিয় শুলভ আচরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
Discussion about this post