সালিশি সভায় ডেকে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপ প্রধান। সাঁকরাইলের কান্দুয়ার ঘটনা। বিয়ে নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। কান্দুয়ার ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন সেপাই। মেয়ের বিয়ে নিয়ে শুরু হয় স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য। কাজিয়ার জেরে বাড়ি ছাড়েন শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী। চলে যান বাপের বাড়িতে। উভয় পক্ষের সমস্যা মেটাতে ডাকা হয় সালিশি সভা। অভিযোগ পাঁচলার জুজুরডাহা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শেখ খলিল আহমেদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আসেন 15 থেকে 20 জন যুবক। আলোচনার শেষে শাহাবুদ্দিন কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সভা চলাকালীন উত্তেজনা ছড়ায়। আক্রান্তদের দাবি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন উপ প্রধান। মারের হাত থেকে বাঁচতে ছুটে পালান শাহাবুদ্দিন। আশ্রয় নেন দাদার বাড়িতে। এরপর সেখানে চড়াও হন আক্রমণকারীরা। ভাঙা গাড়ির ভিতরে পড়ে রয়েছে আস্ত ইট। পুকুরে পড়ে মোটর বাইক, ছোটা হাতি। তছনছ অবস্থা। জানালা ভাঙা। ঘরের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাঁচ। চারিদিকে তাণ্ডবের ছবিতে স্পষ্ট কতটা ভয়াবহ ছিল সেদিনের ঘটনা। পুলিশ এসেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে প্রকৃত দোষী কি শাস্তি পাবে ? অভিযোগ সত্যি হলে একজন শাসক দলের প্রতিনিধি যিনি কিনা পঞ্চায়েত উপ প্রধান কিভাবে এমন কাজ করে থাকেন? পুরো এলাকায় আপাতত সন্ত্রাসের বাতাবরণ।
Discussion about this post