রাজ্যে এখনও ক্ষমতায় আসেনি দল। তার আগেই গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার বিজেপি। এবার বাগদা বিধানসভা উপ নির্বাচনেও প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। সেখানে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পালটা প্রার্থী ঘোষণা করল বিক্ষুব্ধ শিবির। আগামী ১০ জুলাই বাংলার চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার মধ্যে অন্যতম বাগদা বিধানসভা। সোমবার দুপুরে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে বিনয় বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ।
বাগদার হাই স্কুল ময়দানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফে একটি অস্থায়ী আলোচনা সভা করা হয়। তাঁরা বলেন, ‘আমরা বাগদার ভূমিপুত্রকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে বহিরাগত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। আমরা এই প্রার্থী মানছি না’। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রার্থী বদল না হলে তারা কেউ বিজেপিকে ভোট দেবেন না।সময় পেরোলেও দলের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় মঙ্গলবার বৈঠকে বসে বিদ্রোহী শিবির। সেখানে শিক্ষক সত্যজিৎ মজুমদারকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এর পর বিজেপির পতাকা হাতে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন সত্যজিৎবাবু। তাঁর দাবি, আমার নাম সবাই প্রস্তাব করেছে। আমি তাই রাজি হয়েছি। আমরা RSS থেকে বিজেপিতে এসেছি। বিনয় আবার বিজেপি করল কবে? ভোটের সময় ছাড়া তো ওকে দেখা যায় না। ওই প্রার্থী আমরা মানি না। ৮০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হয়েছে বিনয় বিশ্বাসকে এমনই অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের।
এ বিষয় বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস বলেন, ‘আমার জন্ম, পড়াশোনা সব এখানেই. আমি বাগদারই ভূমিপুত্র’.
বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দল যাকে যোগ্য মনে করেছে, তাকেই প্রার্থী করেছে. আমরা প্রার্থীর হয়ে লড়াই করব’।
শিয়রে উপনির্বাচন। তার আগে প্রকাশ্যে পদ্ম শিবিরের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। লোকসভা ভোটের মতো উপনির্বাচনেও কি তবে দলীয় কোন্দল বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে, সেটাই এখন দেখার।
Discussion about this post