সোনারপুরে চোপড়ার ছায়া। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে উঠল মহিলাদের উপর নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ। সালিশি সভায় ডেকে তালিবানি কায়দায় মহিলাদের শিকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচার। গুরুতর অভিযোগ জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে। এটা কি একবিংশ শতাব্দী? অত্যাচারের কাহিনী শুনলে নিশ্চিতভাবে মনে হবে, না। আড়িয়াদহের ঘটনা ঘিরে রাজ্যজুড়ে যখন তোলপাড়। ঠিক সেই সময় উঠে এল আরও একটি নিপীড়নের ছবি। অভিযোগ মহিলাদের সালিশি সভায় ডেকে অত্যাচার করা হোত। সভায় দোষী সাব্যস্ত হলে পায়ে শিকল বেধে তাঁদেরকে মারধর করা হোত। তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিন সর্দারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মুখ খুললেন এক নির্যাতিতা।
অন্যের জমি হাতিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি বানিয়েছেন জামালউদ্দিন। সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঙ্গুরে বাড়ি তৃণমূল নেতা জামালের। সেভাবে কোন কাজকর্ম করেন না জামাল। তাহলে এই প্রাসাদোপম বাড়ি কি ভাবে? জানা যাচ্ছে জমিজমা কেনাবেচা হোক কিংবা দাম্পত্য কলহ। সব সমাধানেই দেখা মিলত জামালের। অভিযোগ সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও বিরাট দহরম মহরম ছিল তার। যদিও পুরো বিষয়টাই অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তার দাবি ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁকে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নির্যাতিতা মহিলার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল।
অগ্নিমিত্রার দাবি এলাকায় এলাকায় শাহজাহানের মতো জামালউদ্দিনরা রয়েছেন। তাঁরা সালিশি সভা ডাকতে পারেন। মহিলাদের উপর অত্যাচার করতে পারেন নির্বিচারে। রাজ্যের শাসকদলের শুধুমাত্র একটাই শর্ত ভোট করাতে হবে। সেফ ভয় দেখিয়েই এলাকায় শাসন কায়েম রেখেছেন জামাল। বাড়িতেই সালিশি সভা বসিয়ে বিচার হোত। আর যারা তার প্রস্তাবে রাজি হোত না তাদের উপর অত্যাচার চলতো বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র জানিয়েছেন জামাল সর্দার তৃণমূলের কেউ নন।
Discussion about this post