আজ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক। আর সেই বৈঠকেই ডাক পেলেন না রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তবে কি কর্মসমিতির বৈঠকে বাদ পড়লেন সুখেন্দু? এই প্রশ্নই জোরাল হচ্ছে।
সম্প্রতি, আর জি করের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল দেশ। আলোড়ণ পড়েছিল পৃথিবী জুড়ে। চরম অস্বস্তিতে ছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। যা দলের বিরুদ্ধে যায় বলে বক্তব্য ছিল অনেকের। এই ঘটনায় তাঁর বন্ধু জহর সরকার সাংসদ থেকে ইস্তফা দেন। তা একবারের জন্য আটকাননি সুখেন্দু। কর্মসমিতির বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় কি এর প্রভাব? দলের এমন গুরত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে বাদ পড়লেন সুখেন্দু শেখর রায়?
আজ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক কেন এত গুরত্বপূর্ণ?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আজ থেকেই সংসদে বসেছে শীতকালীন অধিবেশন। রাজ্যসভায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু। সেখানে কোন কোন বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে, পাশাপাশি বিরোধীদের কিভাবে চাপে রাখা যাবে, তা নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের এখন বিধায়কের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৬। অন্যদিকে রাজ্যের বেশ কিছু ঘটনায় সেভাবে ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়েনি। লোকসভা এবং ৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলাফল তারই প্রমাণ। সাধারণ জনতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ভরসা রেখেছে। তারপর এই বৈঠকে, দলের স্ট্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী, পাশাপাশি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ডাকা হয়েছে তিহার ফেরৎ অনুব্রত মণ্ডলকেও। কিন্তু সেই গুরত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাক পেলেন না রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তবে কি কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হল সুখেন্দুকে? অনেকে মনে করছেন, সুখেন্দুকে দল থেকে সাইড করার এটাই হয়তো প্রথম ধাপ।
Discussion about this post