অদ্ভুত ঘটনা ঘটল হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে। নির্দিষ্ট স্টপেজে থামতে ভুলে গেল ট্রেন। অদ্ভুত ঘটনা ঘটল হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে। নির্দিষ্ট স্টপেজে থামতে ভুলে গেল ট্রেন। যাত্রীরা সবাই অপেক্ষা করছিলেন ট্রেন থেকে নামবেন বলে, কিন্তু যাত্রীদের না নামিয়ে সোজা চলে যায় হুগলি স্টেশনে। পরে হুগলি স্টেশন থেকে আবার পিছনের দিতে চলতে শুরু করে ওই ট্রেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৩৭৮৪৯ আপ হাওড়া-বর্ধমান গ্যালপিং লোকালে। কি ঘটেছে ঘটনাটি? বিষয়টা একটু খোলসে করে বলা যাক। সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিটে হাওড়া-বর্ধমান গ্যালপিং লোকাল হাওড়া স্টেশন থেকে ছেড়েছিল।
নিয়মমাফিক ভাবেই শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি, চন্দননগরের পর চুঁচুড়ায় থামার কথা ছিল। চুঁচুড়ায় নামবেন বলে যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন, অনেকে গেটের সামনেও চলে আসেন। কিন্তু তাঁরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যে, ট্রেন ৭ টা ৫৫ মিনিটে চুঁচুড়ায় ঢুকেও, না থেমেই ছুটেই চলল। নির্ধারিত সময় থেকে ২ মিনিট দেরিতে চলা, হাওড়া-বর্ধমান সুপার, চুঁচুড়ার যাত্রীদের নিয়ে একেবারে সোজা চলে যায় হুগলি স্টেশনে। এরপর যাত্রীরা তীব্র চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। ট্রেন নিজের ভুল বুঝতে পেরে, যাত্রীদের নামাতে চুঁচুড়ার দিকে পিছিয়ে আসে ৮ টা ১ মিনিটে। এরপর যাত্রী নামিয়ে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর গন্তব্যে রওনা দেয় ট্রেন। তবে চালকের ভুলে নাকি অন্য কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে রেল।
পূর্ব-রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন যে, তিনি বিষয়টি শুনেছেন, কী হয়েছিল, তা তিনি খতিয়ে দেখছেন। হাওড়া-বর্ধমান সুপার লোকাল গ্যালপিং ট্রেনটি নিত্য অফিস যাত্রীদের অন্যতম ভরসা। ফলে এদিন অনেককেই সাময়িক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। দীপক দাস নামে এক যাত্রী জানান, “চন্দননগর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। ৭টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি চুঁচুড়া স্টেশনে ঢুকলেও না থেমে সোজা হুগলি চলে যায়। চুঁচুড়ার যাত্রীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। অনেকেই দরজার কাছে চলে আসেন। কিন্তু ট্রেনটি আর থামেনি। পরে, ৮টা ১ মিনিটে ট্রেনটি চুঁচুড়া স্টেশনে ফিরে আসে”। এই ঘটনার ফলে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবং যাত্রীরা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
Discussion about this post