বিধানসভা ভোটের মুখে সিপিএম ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ভোটে জিতে ফের বিধায়কও হয়েছিলেন তিনি। শাসকদলে নাম লিখিয়েও ভালো নেই বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম। এবার তাঁর সন্ধান চেয়ে তাঁর বাড়ির সামনেই পড়ল পোস্টার। হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বসিরহাটে ফের প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মুরারিশায় বাড়ি বিধায়কের। শনিবার সকালে সেই মুরারিশাতেই বিভিন্ন জায়গায় বিধায়কের ছবি-সহ এই ধরনের পোস্টার পড়েছে। ‘বিতর্কিত’ পোস্টার পড়েছে মুরারিশা চৌমাথায়। তা ছাড়া বিধায়কের অফিস এবং তাঁর বাড়ির আশপাশেও পোস্টার দেখা গিয়েছে। পোস্টারে লেখা, “এই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। পেশায় বসিরহাট উত্তরের বিধায়ক। আগে বিধানসভায় যেতেন লাল পোশাকে, পরবর্তীতে সবুজ পোশাকে। বিধানসভা ভোটের পর থেকে এঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।” পোস্টার নিয়ে রফিকুলের বক্তব্য, ‘তৃণমূল কংগ্রেস সম্মান রক্ষা কমিটি’ বলে কোন কমিটি রয়েছে বলে আমার জানা নেই। এই ভুইফোঁড়েরা কোন দল থেকে এসেছেন, তাও জানি না। এঁরা কেউই তৃণমূলের নন। এলাকার সকলেই জানেন, আমি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিধায়ক। তাঁরা আমাকে দু’বার জিতিয়েছেন। মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্যতা আছে, তা এলাকার মানুষই জানেন। এটা ষড়যন্ত্র। কিছু স্বার্থান্বেষী লুটপাট করে খান। তাঁরা নিন্দা করতেই পারেন। তাঁদের নিন্দায় সাধারণ মানুষ টলবেন না। তৃণমূল দলগত ভাবে তাঁর উপর ভরসা রেখেছে।’ এদিকে, ব্লক সভাপতি এস্কেন্দার গাজির বক্তব্যে অভিযোগের তির সিপিএমের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলের সদস্যরা এই পোস্টার সাঁটানোর কাজ করেছে। তবে, এটি আরও একটি ইঙ্গিত দেয় যে, দলের অভ্যন্তরে অস্থিরতা এবং নেতৃত্বের অসংগতি বিদ্যমান। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির উপর জনগণের যে ধরনের আস্থা থাকা উচিত, সেটি যদি নষ্ট হয়, তবে তা দলের সমগ্র সাফল্যে প্রভাব ফেলবে।তবে সিপিএমের স্পষ্ট বক্তব্য, এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ছাড়া আর কিছুই নয়। হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা সিপিএমের প্রাক্তন জেলা কমিটির সদস্য সুবিদ আলি গাজী বলেন, “এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। সামনেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। রফিকুল ইসলাম যাতে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী না হতে পারেন, তার জন্য এই ক্ষোভ তৃণমূলের অন্দরেই। বাম নেতার বক্তব্য, সিপিএম এরকম রাজনীতি করে না।”
বাংলাদেশকে চাপ দিতে শুরু করেছে ভারত। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ভারতের। ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের মত...
Read more
Discussion about this post