ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তাল রাজ্য। এমনিতেই বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী নামার পর খানিকটা পরিস্থিতি আয়ত্তে এসেছে। আর এই অবস্থায় থেমে নেই রাজনীতি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদটি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী নিজের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংককে এককাট্টা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এটাতে এইবার বড়সড়ো ধাক্কা দিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি কলকাতার বুকে শিয়ালদা চত্বরে সংখ্যালঘুদের ভিড় তৈরি করলেন, এর মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের জন্য অশনি সংকেত। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কারণ অনেকে বলছেন, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীদের দিয়ে যতটা আন্দোলন জড়ো করার চেষ্টা করছেন, সেই রেকর্ড ভেঙে দিল আইএসএফ। শুধু তাই নয়, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন রাজনীতি করছেন, সেটাও সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফ সংশোধনীকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে বিভাজনের রাজনীতি করছেন। আর এটি বলতে গিয়ে নওশাদ সিদ্দিকী এদিন ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের পুলিস প্রশাসনকে যেভাবে আক্রমণ করলেন তাতে বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূলের আন্দোলনে হয়তো আর ধোপে থাকবে না। কি বলছেন ভাঙ্গরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী, শুনুন।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল যে বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না, সেটা স্পষ্ট। আর এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখনো বছর ঘুরেনি।বিধানসভা নির্বাচন দেরি রয়েছে। কিন্তু রাত্রে ভোট ব্যাংকের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে এ রাজ্যের সবথেকে বড় ভোট সংখ্যালঘু ভোট টানা। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এখন দেখার শেষমেশ কি পরিস্থিতি তৈরি হয়।
Discussion about this post