মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে এই বৈঠক হয়৷ দুই নেতার মধ্যে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিশ্বের বর্তমান বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় ৷ জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ওয়াল্টজের সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন ৷ এই বৈঠক নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ সেখানে তিনি লেখেন, “আজ সন্ধ্যায় রিপাবলিকান মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত। আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক সমস্যাগুলির উপর একটি বিস্তারিত কথোপকথন উপভোগ করেছি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছি ।” উল্লেখ্য, জয়শঙ্কর দু’দিনের সরকারি সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন৷ এদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ও কনসাল জেনারেলের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করাই তাঁর প্রাথমিক উদ্দেশ্য৷ ভবিষ্যতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কোন পথে যাবে, সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সোশাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর৷ তবে পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনও এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কোনদিকে এগিয়ে যেতে চায়, তা অনুমান করতেই সম্ভবত ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন জয়শঙ্কর৷ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আগামী মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন রীতি অনুযায়ী, নিজের টিম ইতিমধ্য়েই সাজিয়ে নিয়েছেন ট্রাম্প৷ সেই টিমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মাইকেল ওয়াল্টজকে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প৷ এখন ওই পদে রয়েছেন জ্যাক সুল্লিভিয়ান৷ ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর সুল্লিভিয়ানের পদে বসবেন ওয়াল্টজ৷ সেই সুল্লিভিয়ানের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই বৈঠক সারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ৷ সেখানেও ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা সারেন তিনি ৷ একই সঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন৷ এই নিয়েই সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন জয়শঙ্কর৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, “গতকাল সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত। গত চার বছরে ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা একমত যে আমাদের সহযোগিতা অনেক ক্ষেত্রেই শক্তিশালী হয়েছে, ঠিক যেমন আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যের মাত্রা একইভাবে বেড়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের পাশাপাশি বৈশ্বিক কল্যাণে কাজ করবে।”
বাংলাদেশ বহু ক্ষেত্রেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারত বাংলাদেশের 'গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী'। তাই, এমন কিছুই করা হবে না, যেটা ভারতের...
Read more
Discussion about this post