গত কয়েকদিন কিছুটা শান্ত ছিল সীমান্ত। তবে গতরাতে ফের নাকি বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, নাফ নদের তীরবর্তী শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা এই আওয়াজ শুনতে পান। দাবি করা হচ্ছে, রাত ২টো নাগাদ প্রায় আট থেকে দশ রাউন্ড গুলি চলার আওয়াজ পাওয়া যায় সীমান্তের ওপার থেকে। এছাড়াও মর্টারের আওয়াজও নাকি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এরই মাধ্যে সামাজিক মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন, টেকনাফ এবং বান্দরবনের বেশ কিছুটা অংশ হয়ত আরাকান আর্মি দখল করে নিয়ে থাকতে পারে। যদিও বাংলাদেশ সরকার এই নিয়ে কোনও মন্তব্য এখনও করেনি। এছাড়া বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আরাকান আর্মি পা রেখেছে বলে কোনও পোক্ত প্রমাণও পাওয়া যায়নি এখনও। ভারতের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই নিঃশব্দে বিপদকে কাছে টেনে আনলো ঢাকা। গত ১০ ডিসেম্বর চট্টোগ্রাম সীমান্ত সংলগ্ন মংডু শহর দখল নিয়েছে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। চট্টগ্রাম সীমান্তে বয়ে চলা নাফ নদীর পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এই গোষ্ঠীটি। রোহিঙ্গা অধুষ্যিত রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এই মুহূর্তে সবথেকে বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এখন বাংলাদেশিদের কাছে আতঙ্কের অপর নাম আর নাফ নদী । কারণ কোনও বাংলাদেশি দেখলেই গুলি চালাতে এক সেকেন্ডও ভাবছে না আরাকাররা। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের সিংহভাগটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এই রাখাইন প্রদেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সম্পর্ক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বৈদেশিক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এদিকে গত ২০১৭ সাল থেকে এই বছর মংডু দখলের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছিল মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৩টি শিবিরে মোট ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে থাকে। এরই মাঝে অভিযোগ উঠেছে, মংডু শহর দখলের পর থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। তাও এরই মাঝে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা। গত সাত বছর ধরে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যে একজন রোহিঙ্গাকেও মায়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post