দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলা সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বাড়তেই ওপার বাংলায় নানান জায়গায় উত্তাল পরিস্থিতি হয়। দিল্লিও এই নিয়ে সরব হতে ছাড়েনি। এরই মাঝে সদ্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। সেই বৈঠকে ইউনুসকে বলতে শোনা যায়, ‘৫ তারিখে যে উত্তেজনা ও শক্তি নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করেছি, আমাদের ছাত্র জনতা বুক পেতে দেয়, সেই লক্ষ্যে ফাটল ধরেনি। সেই কথা দুনিয়ার সামনে প্রকাশ করা দরকার হয়েছে।’ বাংলাদেশে সর্বদলীয় ওই বৈঠকে এরপরই ইউনুস বলেন, ‘আমরা কোনও দুর্বলতা থেকে এখানে আসিনি। আমরা এখনও সেই জাতি, যে জাতি এই ৫ অগস্ট থেকে যাত্রা করে স্বৈরচারী সরকারকে বিদায় দিয়ে, সেই জাতি এখনও সজাগ আছে, মজবুত আছে। সেই মজবুত জিনিসটাই দুনিয়ার সামনে তুলে ধরা। তারা যেন মনে করছে যে এরমধ্যে ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে ওটা। ঠান্ডা আমরা হই নাই। আমরা সতেজ, সেই জাতি মরে নাই, দুর্বল হই নাই সবল আছে।’ ঢাকায় এদিন বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মহম্মদ ইউনুস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউনুস সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আগরতলার সহকারী হাইকমিশনের অফিসে হামলা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ সহ নানান ইস্যুতে কথা হয়েছে বৈঠকে। বৈঠকে এসবের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার ও তার সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করে সব দল ঐক্যমত পোষণ করেছে। নজরুলের দাবি, বৈঠকে উপস্থিত সব দল দেশের প্রশ্নে ঐক্যমতে এসেছে। যদিও এই সর্বদলীয় বৈঠকে হাজির ছিলনা আওয়ামি লিগ। তবে বাংলাদেশে কি ক্ষমতায় আসছে বিএনপি? জানা যাচ্ছে, প্রধান উপদেষ্ঠা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সবাই মিলে ষড়যন্ত্র মোকাবিলার কথা বলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি অতিদ্রুত সংস্কার করে তাঁরা নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকও করেন ইউনূস। বৈঠকে বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতা চাইতে প্রধান উপদেষ্টা আলোচনা করেছেন। বৈঠকে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন দিকে বাঁক নিয়েছে। সরকার সমর্থক প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মুখে হঠাৎই আবার ফিরে এসেছে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের প্রস্তাব। এই সরকার নির্বাচনের আগে, না পরে গঠন করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। যেমন স্পষ্ট নয়, সেনা অভ্যুত্থানে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন হবে কি না, সেটিও। তবে আদতে বিএনপি-র তোলা এই প্রস্তাবে এই প্রথম প্রকাশ্যে সায় দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পর পর দু’দিন বৈঠক হয় বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃত্বের। দু’টি দলের নেতারাই যেমন যথাশীঘ্র নির্বাচন করার কথা বলেন, পাশাপাশি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবও দেন।
ফের বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান! এবারও কি বাংলাদেশের ক্ষমতা হাতে তুলে নিতে উদ্যোত সেনাবাহিনী? আর এই গুঞ্জন যেন বাংলাদেশের অন্দরে মাথা...
Read more
Discussion about this post