একদিকে হিন্দু নির্যাতনের জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তারমধ্যে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। এমন পরিস্থিতিতে ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশি দেশের জামাত সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলি। কখনও কলকাতা দখল তো কখনও আগরতলা অভিযানের মতো ভারত বিরোধিতার জিগির তুলে দেশের রাজনৈতিক মহলে জনপ্রিয়তা বাড়াতে চাইছে বিএনপির মতো দলগুলি। এই অকারণে যুদ্ধের জিগির স্বাভাবিক ভাবেই উত্তপ্ত করেছে প্রতিবেশি দুই দেশের সম্পর্ক। স্বাভাবিকভাবেই সীমানায় চাপ বাড়ছে। অনুপ্রবেশের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই আবহে এবার মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তেও চরম উত্তেজনা। মঙ্গডাও এলাকায় মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৭১ কিমি এলাকা দখলের দাবি করা হয়েছে। আগেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের একাংশ দখল করেছে আরকান সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এবার বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি। এই অবস্থায় বাংলাদেশ তার বায়ু সেনার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকরণে চিনের সঙ্গে হাত মেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশ বায়ু সেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বিমান বহরের মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বায়ু সেনা প্রধানের মতে, ‘আমরা ফাইটার জেট এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’ এমনটা হলে পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ হবে দ্বিতীয় প্রতিবেশী যারা চিন থেকে যুদ্ধবিমান কিনবে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সম্ভাব্যভাবে তার বিমান বহরের শক্তি বাড়াতে চিনের চেংডু J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট কিনতে পারে। সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বায়ু সেনার জন্য প্রথম পর্যায়ে ১৬টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে। J-10C হল চিনে নির্মিত একটি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, যা আকাশ-থেকে-এয়ার এবং এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিশনের জন্য পরিচিত। চিনা J-10C-তে উন্নত এভিওনিক্স এবং AESA রাডার সিস্টেমের পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করার ক্ষমতা রয়েছে, যা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।বাংলাদেশ বিমান শক্তিতে পরিণত হতে চায়। J-10C অধিগ্রহণ বাংলাদেশের বায়ু সেনার সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে যার বয়সী বিমান রয়েছে এবং এর যুদ্ধ প্রস্তুতিও বৃদ্ধি পাবে। এটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। ফাইটার জেটের পাশাপাশি, বাংলাদেশ অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার দিকেও জোর দিচ্ছে, যেগুলো ঘনিষ্ঠ বিমান সহায়তা এবং অস্ত্র-বিরোধী অভিযানের মতো মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারত আমেরিকার সাথে MQ-9B ড্রোন কেনার জন্য ৩৪,৫০০ টাকার চুক্তি করেছে। সরকার-থেকে-সরকার চুক্তি অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীকে ৩১ টি দূরপাল্লার ড্রোন সরবরাহ করবে। যাইহোক, এই অধিগ্রহণ এখনও সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তার তুলনায় কম। এই ড্রোনগুলির ডেলিভারির তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আধুনিক যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সামরিক সক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে ভারত তার প্রয়োজন মেটাতে ইসরায়েল এবং ফ্রান্স থেকে আক্রমণ-সক্ষম ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করছে। প্রসঙ্গত, চিনের ঝুহাইতে চলমান এয়ার শোতে চিন J-10C সহ তার অনেক ফাইটার জেট প্রদর্শন করেছিল। আজারবাইজান বায়ু সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নামিগ ইসলামজাদেও এয়ার শোতে অংশ নেন। শুক্রবারের এয়ার শো থেকে যে ছবিগুলি এসেছে তা বিশ্বের নজর কেড়েছে, যেখানে জেনারেল নামিগ চিনা ফাইটার জেট J-10C পরিদর্শন করছেন। নামিগের ছবিগুলোর পর মনে করা হচ্ছে, আজারবাইজান বিমানটি কিনতে আগ্রহী। চাইনিজ ‘ভায়গোরাস ড্রাগন’ J-10C শুধুমাত্র চিনের বাইরে পাকিস্তানি বায়ু সেনা ব্যবহার করলেও এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ এতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের বায়ু সেনার কমান্ডার তার চিনা সমকক্ষ জেনারেল চ্যাং ডিংকিউর সঙ্গেও দেখা করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনা চলছে যে আজারবাইজান চিন থেকে J-10C কিনতে পারে, যা তারা আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্মেনিয়া ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র পাচ্ছে। আজারবাইজান পাকিস্তান থেকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। এখন এতে চিনের নামও যুক্ত হতে পারে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আজারবাইজানের বায়ু সেনার কমান্ডার চিনা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে চিনা বিমান বাহিনীর সাথে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর ফলে আজারবাইজান J-10C ক্রয় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আজারবাইজান সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে JF-17 কিনেছে। বহু বছর ধরে JF-17 ব্যবহার করার পর পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে J-10C অন্তর্ভুক্ত করে। আজারবাইজানও একই পথে যেতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল সে দেশের অন্তবর্তী সরকার। যদিও ভারতের তরফে...
Read more
Discussion about this post