উত্তাল পদ্মাপার। গণঅভ্যুত্থানের পর, দ্বিতীয় দফায় ফের অশান্ত বাংলাদেশ। সন্ন্যাসী গ্রেপ্তার থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, ধরপাকড়, একাধিক ইস্যুতে দিনে দিনে বাড়ছে বিবাদ। এর মাঝেই এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়িয়ে ঢুকছেন পড়ুয়ারা। তারপর থেকেই একে একে গর্জে ওঠেন বহু মানুষ। পড়শি দেশে, বন্ধু দেশে, নিজেদের দেশের পতাকা নিয়ে এ কেমন আচরণ। রাগ-ক্ষোভের প্রকাশ চতুর্দিকে। বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও হিন্দু নির্যাতনের জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তার মধ্যে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। সেদেশের সমগ্র পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এমন অবস্থায় চুপ করে বসে নেই নয়াদিল্লিও। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভারত বিরোধীতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প পথের কথাও ভাবছে ভারত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-মনিপুর সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে তাক করা হয়েছে পিনাকা গাইডেড মিসাইল। যার রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমানু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্র। ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের এই বিপুল সেনা মোতায়েন নিঃসন্দেহেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনুস সরকারের। এদিন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ‘পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট’ বিষয়সহ ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর ভিডিও কলের ছবি দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এডিজি পিআই এর এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়, তারা দুজন ‘ভিডিও টেলি কলে’ নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। তারা ‘পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট’ বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মধ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে থাকা একটি ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। উপদেষ্টাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যে উপদেষ্টারা শপথ নিয়েছেন এই মেন্ডেড কার কাছ থেকে নেয়া হয়েছে? মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তিশার অনেক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ৭ নভেম্বরের চেতনায় আঘাত করছেন আপনারা।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বলবো সন্তান হয়ে কথায় কথায় বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবেন না। একটা জিনিস মনে রাখবেন জুলাই আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন নিহত হয়েছেন। আপনাদের নেতৃত্বেই দেশ চলবে। আমরা ৭ নভেম্বরের পুনরাবৃত্তি চাই না।’
ফের বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান! এবারও কি বাংলাদেশের ক্ষমতা হাতে তুলে নিতে উদ্যোত সেনাবাহিনী? আর এই গুঞ্জন যেন বাংলাদেশের অন্দরে মাথা...
Read more
Discussion about this post