প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মুকুটে পালক যুক্ত হল ভারতের। সফলভাবে ৩,৫০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কে-৪। এই ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করল ভারতীয় নৌবাহিনী। এটি নতুন পরমাণু সাবমেরিন আইএনএস অরিঘাট থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এই সফল পরীক্ষা ভারতের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করল। নৌসেনার ডুবোজাহাজ আইএনএস আরিঘাট থেকে পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম ক্ষেপনাস্ত্রের উৎক্ষেপন করল। বিশাখাপত্তনমে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে নৌসেনা। ভারত ছাড়াও আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের কাছে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহনক্ষম ডুবোজাহাজ রয়েছে। পরমাণু অস্ত্র বহনকারী সেই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৫০০০ কিলোমিটার। গত আগস্টে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি হয় পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম ডুবোজাহাজ আইএনএস আরিঘাট। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র জলের নীচ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৩,৫০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি ১২ মিটার দীর্ঘ এবং ওজন ১৭ টন। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির বিশেষত্ব হলো, এটি রাডারের মধ্যে সহজেই আসে না। মিসাইলটিকে শিগগিরই আইএনএস আরিহান্ট শ্রেণিরর পরমাণু সঞ্চালিত ডুবোজাহাজে যুক্ত করা হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন যে দুটি আন্ডার ওয়াটার মিসাইল তৈরি করে। তার মধ্যে কে-ফোর একটি। অন্যটি হলো ৭০০ কিলোমিটারের বেশি স্ট্রাইক রেঞ্জের বিও-ফাইভ ক্ষেপণাস্ত্র। সফল প্রতিরক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংডিআরডিও, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছন। তিনি বলেন, সফলভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি এবং সামরিক বাহিনীতে এর সংযোজন ভারতের জন্য একটি ‘দারুণ’ খবর। ভারতের সামরিক শক্তি এতে কয়েক গুণ বাড়বে। এদিকে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নজরদারি বাড়িয়েছে। কারণ বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের কাছে তুরস্ক থেকে কেনা বায়রাক্তার টিবি টু ড্রোন মোতায়েন করছে বলে খবর রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বেড়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই খবর নিশ্চিত করছে যে বাংলাদেশ সীমান্তে এই ড্রোন মোতায়েন করেছে। যাতে এটি গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি এবং রিকনেসান্স মিশন পরিচালনা করতে পারে। বাংলাদেশ বলছে, প্রতিরক্ষার জন্য এই ড্রোন আনা হয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের সীমান্তের আশপাশে ভারত বিরোধীদের সংখ্যা ও তৎপরতা বেড়েছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং উন্নত ড্রোন মোতায়েনের কারণে সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। ভারতের একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্তা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সীমান্তের ওপর নজর রাখছি। যত প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা দরকার, সেগুলো মোতায়েন করা হবে। সম্ভবত হেরন টিপি ড্রোন মোতায়েন করা হবে।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post