মুক্তি দেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অন্তর্বর্তিকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব সেখানে সাধারণ নির্বাচন করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তারপরেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেখানে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার গঠন করা হবে বলে জানান। সরকার গঠনের জন্য আওয়ামি লিগ সংগঠনকে আলোচনায় ডাকা হবে না। সরকার গঠনের আলোচনায় বিএনপি, জামাত শিবির যুক্ত থাকবে। পাশাপাশি সমস্ত বন্দি আন্দোলনকারীদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এদিকে আজ জেলে বসেই দেশবাসীকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা দুর্নীতির দু’টি মামলায় ২০১৮ সালের কারাবন্দি হয়েছিলেন। দু’বছরের বেশি সময় তিনি জেলে ছিলেন। এরপর পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে হাসিনার সরকার এক অন্তর্বর্তী আদেশে খালেদার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তবে সেই মুক্তির মেয়াদ ছিল মাত্র ছ’মাস। তারপর থেকে ছ’মাস অন্তর অন্তর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। তবে জেল থেকে ছাড়া পেলেও খালেদা কার্যত তাঁর গুলশনের বাড়িতেই গৃহবন্দি ছিলেন। কারন তার স্বাধীনভাবে চলাফেরার উপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মুক্তি পেলেও সক্রিয় ভাবে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Discussion about this post