ফের সংসদে ফিরে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ দ্বিতীয়বার সাংসদ হিসেবে লোকসভায় প্রথম ভাষণ থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সপ্তদশ লোকসভা থেকে যেদিন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সেদিনই ঘোষণা করেছিলেন তিনি বিজেপির শেষ দেখে ছাড়বেন। সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন মহুয়া। বাদ দেননি প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও। মহুয়া বলেন, ‘আমার মুখ বন্ধ করতে গিয়ে আপনাদের ৬৩ জন সাংসদের মুখ পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে গেল৷’ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একা জিতেছিল ৩০৩টি আসনে। এবার তারা জয়ী হয়েছে ২৪০টি আসনে। সেই প্রসঙ্গেই খোঁচা দিলেন তিনি। মহুয়া এও মনে করিয়ে দিলেন যে, একার বলে ৫৪৩ আসনবিশিষ্ট লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি পরিসংখ্যান তুলে ধরে, ‘এক আকেলা সব পর ভারি পরা’ স্লোগান দিতে শুরু করেন কৃষ্ণনগরের সংসদ। এদিন সংসদে বক্তব্য রাখার জন্য মহুয়া মৈত্রের নাম ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে নিজের আসন ছেড়ে উঠে চলে যান প্রধানমন্ত্রী। তা দেখেই মোদিকে কটাক্ষ করে মহুয়ার চিৎকার, “সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এখানে এতক্ষণ ছিলেন, আড়াই ঘণ্টা ছিলেন, এটাও শুনে যান, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি। ভয় পাবেন না স্যার, দুবার আমার কেন্দ্রে গিয়েছেন, প্রচার করতে, আজকে তো শুনে যান।” যদিও মহুয়ার চিৎকারে কর্ণপাত করেননি মোদি। তাতে কটাক্ষ ছুঁড়ে মহুয়া বলেন, “আমার দুর্ভাগ্য। যার ইচ্ছে চলে যাক। আমাকে দমানো যাবে না, অগ্নিপরীক্ষা পার করে এখানে এসেছি। বিজেপির ঔদ্ধত্যর জবাব গণদেবতা দিয়েছে, বিজেপির রাজতন্ত্রকে ৩০৩ থেকে গণতন্ত্রই ২৪০ এ নামিয়ে এনেছে।” সোমবার সংসদে মহুয়া নিজের বহিষ্কার হওয়ার দিনের সঙ্গে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের তুলনা করলেন। তাঁর কথায়, ‘‘৮ ডিসেম্বর কুরুসভা হয়েছিল সংসদে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা করেছিলেন দুঃশাসন। ধৃতরাষ্ট্র সে দিন অন্ধ ছিলেন।’’ নিজের জয় প্রসঙ্গে মহুয়া বলেন, ‘‘অনেকে বলতেন, সাংসদপদ হারিয়েছ, বাড়ি হারিয়েছ। ইউটেরাসও অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয়েছিল আমার। কিন্তু, কী জিতেছি জানেন? রাহুলজি যা বলেন, তা জিতেছ ‘ভয় থেকে মুক্তি।’ তোমার ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর কেউ হারাতে পারেনি আমাকে।’’
প্রসঙ্গত গত বছর ডিসেম্বর মাসে সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়৷ এবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে ফের তাঁকেই প্রার্থী করে তৃণমূল৷ ফের কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সাংসদে গিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।
বাংলাদেশকে চাপ দিতে শুরু করেছে ভারত। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ভারতের। ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের মত...
Read more
Discussion about this post