নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর অভিযোগকে উড়িয়ে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাফ জানান হয়ছে, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মাইক অফ করা হয়নি। ঘড়ি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘মধ্যাহ্নভোজের পর বক্তব্য রাখার কথা ছিল মমতার। কিন্তু দিল্লি থেকে ফেরার তাড়া থাকায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধে বৈঠকের সপ্তম স্পিকার করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোনও বেল বাজানো হয়নি। ঘড়ি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল সময় শেষ। মধ্যাহ্নভোজ শেষ হওয়ার পর ফের বলার সুযোগ পেতেন মমতা। কিন্তু তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াক আউট করেন।’ ভিডিয়ো বার্তায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “উনি মিডিয়ায় বলেছেন যে ওঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তাঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছিল। মিথ্যার উপরে কাহিনি তৈরি না করে, ওঁর উচিত সত্য বলা।”
অন্যদিকে গজেন্দ্র সিংহ শোখাওয়ত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। ওই বৈঠকে প্রত্যেক রাজ্য ইংরাজি বর্ণানুক্রমিক সূচি অনুসারে বলার সুযোগ পায়। পশ্চিমবঙ্গের নাম যেহেতু ইংরাজিতে W দিয়ে শুরু হয় তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবার শেষে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু উনি অনুরোধ করেন যে আমাকে ফিরতে হবে তাই আগে বলতে দেওয়া হোক। তিনি এই অনুরোধ করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সপ্তম বক্তা হিসাবে সঙ্গে সঙ্গে বলার অনুমতি দেওয়া হয়। সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের জন্য বরাদ্দ সময়ের পুরো সদ্ব্যবহার করেছেন। তার পরেও নিয়ম মেনে সময় শেষ হলে যে বেল বাজে তা বাজানো হয়নি। নিজের বক্তব্য শেষ করে উনি দাঁড়িয়ে পড়েন। তার পর উনি বেরিয়ে যান। বাইরে গিয়ে উনি এই ধরণের দোষারোপ করার চেষ্টা করেন।”
প্রসঙ্গত, শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেট বৈষম্যর অভিযোগে কংগ্রেসের তিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন এবং কেরলের পিনারাই বিজয়ন বৈঠকে যোগ দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই মমতার বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইন্ডিয়া জোটের একাংশ। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিল কেন্দ্র।
Discussion about this post