সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের আধিকারিকদের। বৈঠকে আলোচনামাফিক জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো এবার টাস্ক ফোর্স নিয়ে নির্দেশিকা দিল রাজ্য সরকার, সাথেই সোমবারের বৈঠকের নির্যাস।এর আগেও বারবার ডাক্তারদের তরফে রাজ্যকে টাস্ক ফোর্সের বিষয়ে একটি ‘ডিরেক্টিভ’ বা নির্দেশিকা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। সোমবারের বৈঠকে আবারও ওঠে সেই দাবি। বৈঠকের পরের দিন মঙ্গলবার রাজ্যভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। মূলত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়ন, চিকিৎসক-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং অভিযোগের নিষ্পত্তি করাই হবে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের কাজ বলে জানানো হয়েছে। সোমবার বৈঠক চলাকালীন ডাক্তারদের সাথে আলোচনার মধ্যে দিয়েই ঠিক হয় কারা থাকবেন টাস্ক ফোর্সে। সেই মতোই মঙ্গলবার নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আধিকারিকদের মধ্যে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, স্বাস্থ্য সচিব টাস্ক ফোর্সের সদস্য হবেন। এছাড়াও এর সদস্য হিসাবে থাকবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দুইজন প্রতিনিধি, জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দুইজন প্রতিনিধি, রাজ্য অভিযোগ নিষ্পত্তি বিষয়ক কমিটির এক সদস্য এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে এক জন। তবে এই পড়ুয়াকে অবশ্যই মহিলা হতে হবে। টাস্কফোর্সে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতেই সোমবারের বৈঠক এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও টাস্কফোর্সের সাথেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল কলেজ ভিত্তিক মনিটরিং কমিটির। ওই দিন বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশীষ হালদার বলেন, “একটা যেমন স্টেট টাস্ক ফোর্স হচ্ছে, আমরা বলছি প্রত্যেকটা কলেজ স্তরে এ রকম মনিটরিং কমিটিও হোক। যেটা কলেজ লেভেল টাস্ক ফোর্স হবে। সেখানে যেমন অধ্যক্ষ থাকছেন, সুপার থাকছেন, বিভাগীয় প্রধানেরা থাকছেন, সিস্টার-দিদিদের প্রতিনিধি থাকছেন। রোগীর পরিজন থাকতে পারেন। ঠিক তেমনই, জুনিয়র ডাক্তার এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিদের রাখা জরুরি।” দেবাশীষের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “আমরা নিশ্চয়ই এটা কনসিডার করতে পারি । আমার মনে হয় না, এ নিয়ে কোনও সমস্যা হবে।” সোমবার বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকের নির্যাস প্রকাশ করা হবে। সেই মতোই এদিন বৈঠকের নির্যাস প্রকাশ করেছেন মুখ্য সচিব।
কুয়াশায় ঢাকছে গোটা রাজ্যের ভোরের আকাশ। বইছে উত্তুরে হাওয়া। ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা। দিনভর হিমেল আবহাওয়া থাকলেও, ভোরে ও সন্ধেয় অনুভূত...
Read more
Discussion about this post