দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার চারমাস পার। অসমে মাত্র আটজন সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ৮ জন আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র দুইজন ইন্টারভিউয়ের জন্য এসেছেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের জেরে আবেদন করতে ভয় পাচ্ছেন আতঙ্কিত জনতা। অন্ততপক্ষে ৫০ লক্ষ বেআইনি শরণার্থী সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। সোমবার পর্যন্ত অসমে মাত্র আটজন সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে দরখাস্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র দু’জন সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়ে নথিপত্র পেশ করেছেন। বাকি ছয়জন দরখাস্ত করার পর আর আগ্রহ দেখাননি।
সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা বলে নথিপত্র নিয়ে যাননি।গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন স্বয়ং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যিনি স্বয়ং সিএএ বিরোধীদের মুণ্ডপাত করে দাবি করেছিলেন, এই আইন বহু মানুষের ভাগ্য বদলে দেবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেন, আমি বেশ কয়েকজন বাঙালি হিন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছিলাম কেন তাঁরা সিএএ-তে আবেদন করছেন না। তাঁরা আমাকে বলছেন, এই আইন তাঁদের কাজে আসবে বলে মনে করছেন না। আইন আদালতে বিষয়টি উঠলে তাঁরা সেখানে ফয়সালা চান। যারা দরখাস্ত করেননি তাঁদের যাতে কোনওভাবে পুলিশ হেনস্থা না করে সে ব্যাপারে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও পুলিশকে সক্রিয় না হতে বলা হয়েছে। হিমন্ত বলেন, ট্রাইব্যুনাল হল বিচারালয়। সরকার ট্রাইব্যুনালের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা সিএএ নিয়ে অবহিত।
Discussion about this post