বাংলাদেশে জুলাই অগাস্টের ঘটনায় ‘গণহত্যার’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য এক মাসের সময় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে একই বিষয়ে আরেক মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। একই ধরনের অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যসহ প্রভাবশালী ৪৫ জনের ক্ষেত্রে পৃথক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার এই নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে প্রথম মামলা হয় ১৫ আগস্ট। এর পর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালত ও থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে মামলা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও তাঁর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হচ্ছে।ইতিমধ্যে সাবেক বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, সরকারি আমলাসহ বিভিন্ন পেশার অন্তত ৯০ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।ট্রাইব্যুনালের এক আইনজীবী বিএম সুলতান মাহমুদ জানান, প্রাক্তন আইনমন্ত্রী এবং হাসিনার বেসরকারি খাতের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ীসহ অন্তত ১৩ জন সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। একজন প্রাক্তন মন্ত্রী আলাদা মামলায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে থাকায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়নি। বুধবার আরও ছয়জনকে হাজির করা হবে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল হাসিনাসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার নিয়ে পুলিশের তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তাদের তরফে বলা হয়, হাসিনাকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশটির পুলিশ প্রধানের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার আর ব়্যাগিং নয়, কাঠগড়ায় অধ্যাপক। পরীক্ষার খাতায় বেনিয়মের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, খাতা না দেখে নম্বর...
Read more
Discussion about this post