আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী খুন-ধর্ষণের ঘটনায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে চলছে আন্দোলন। শুরু থেকেই এ ঘটনায় যিনি সরব, সেই চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে এবার ফেসবুকে বড় অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের ছাত্র নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। আরজি করের আড়াই দশক আগের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে চিকিৎসক গোস্বামীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনেছেন দেবাংশু। পাল্টা জবাবে দেবাংশুর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুবর্ণ গোস্বামী। ২৩ বছর আগে আরজি কর হাসপাতালের এক ডাক্তার পড়ুয়ার ‘রহস্যমৃত্যু’ হয়েছিল। তারিখটা ২০০১ সালের ২৫ অগস্ট। এই ঘটনার পর মৃতের মা সবিতাদেবী অভিযোগ করেছিলেন, আরজি কর হাসপাতালের পর্নোগ্রাফি চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জেরেই ‘খুন’ হতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। ‘দুবেজি’, ‘ধরবাবু’ এবং ‘গোঁসাই ঠাকুর’—এই তিনজন এসএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন মৃত সন্তানের মা। যৌনকর্মী ভাড়া করে এনে শ্যুটিং হতো সেখানে বলে তথ্য পায় তৎকালীন সিআইডি অফিসাররা। আরজি কর হাসপাতালের তখনকার শীর্ষ এসএফআই নেতা ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এসব অভিযোগ মিথ্যে বলেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘গোঁসাইঠাকুর কে? আমি তো কলা খাইনি!’ তারপর ওই সংবাদপত্রের রিপোর্টের সঙ্গে ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীর ছবি জুড়ে লেখেন, ‘বাম আমলের ডাক্তারি ছাত্র খুন ও পর্ণ চক্রের পান্ডা!’ আবার দেবাংশু লেখেন ফেসবুকে, ‘২০০১ সালের ২৫ অগষ্ট। আরজি কর কলেজের হস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌমিত্র বিশ্বাসের। অভিযোগ ওঠে হস্টেলের মধ্যে পর্ন চক্র চালাত সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নেতারা। তার জেরেই এই খুন। সেদিন কোনও উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে আন্দোলনও হয়নি। বরং সেদিন ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিলেন আরজি করের এসএফআই নেতা সুবর্ণ গোস্বামী। হ্যাঁ, সেই একই ব্যক্তি যিনি তিলোত্তমা কাণ্ডে গলার শিরা ফুলিয়ে ১৫০ গ্রামের থিওরি বলেছিলেন। সেদিনের ছাত্র খুন ও পর্ন চক্রের মূল পান্ডা আজকের আন্দোলনের প্রধান মুখ।’ দেবাংশুর এহেন পোস্ট ঘিরে সকাল থেকে শোরগোল তৈরি হয়েছে। যদিও পুরো বিষয়টিকে ‘কুৎসা ও চক্রান্ত’ বলে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় শাসকদল বিব্রত। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ওরা যে এই ধরনের কুৎসা ওরা করব, সেটাই স্বাভাবিক। তবে যত কুৎসা করবে আন্দোলন তত তীব্রতর হবে।’
বাংলাদেশ শীঘ্রই সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে পারে , সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণ করে ক্ষমতা গ্রহণের সম্ভাবনা...
Read more
Discussion about this post