রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ফের একবার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব ভারত। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতোই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একদিকে যেমন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বললেন, একইসঙ্গে দুই প্রতিবেশী চিন ও পাকিস্তানকেও সন্ত্রাসবাদীদের নিষিদ্ধ ঘোষণার কাজে বিনা কারণে বাধা দেওয়ার জন্য নাম না করেই তুলোধনা করলেন।বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসবাদের সমসাময়িক মূলকেন্দ্র এখনও বর্তমান।” বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচ্য বিষয় ছিল “বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ অভিমুখ: প্রতিবন্ধকতা ও পরবর্কী পদক্ষেপ”। এই বৈঠকে ভারতের তরফে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ঝুঁকি হল সন্ত্রাসবাদ। কোনও সীমান্ত, নাগরিকত্ব বা জাতি মানে না এই সন্ত্রাসবাদ।” তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের সম্ভাবনা বর্তমানে আরও বেড়ে গিয়েছে। আমরা আল কায়দা, দায়েশ, বোকো হারাম, আল শাবাব ও এই সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠনগুলির বৃদ্ধি দেখেছি। এতকিছুর মাঝেও আমরা এটা ভুলতে পারি না যে পুরনো নেটওয়ার্কগুলি এখনও সক্রিয় রয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়। অস্বস্তিকর এই সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদের সমসাময়িক মূলকেন্দ্র এখনও অতি-সক্রিয়।” উল্লেখ্য, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর তাঁর এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানকেই আক্রমণ করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আল কায়দা, লস্কর-ই-তৈবা ও তালিবানের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মদত ও আশ্রয়দাতা হয়ে ওঠার অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিদেশমন্ত্রীর এই কটাক্ষ।সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা হিসাবে দ্বিচারিতাকেই উল্লেখ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের উপরে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে এবং তাদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে একই নিয়ম বা শর্ত অনুসরণ করা হচ্ছে না। কিছু সময় মনে হয় যেন সন্ত্রাসবাদের দায় কার, এই বিষয়টিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রস্তুতি বা তার ফলাফলের থেকে।” এদিকে পাকিস্তানি বায়ুসেনার হামলার জবাব দিল আফগানিস্তানের তালিবান। তালিবান সেনার হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ পাকিস্তানি সেনা। নিহত হয়েছেন আফগানিস্তানের ৩ জন সাধারণ নাগরিকও। আহত অনেকে। যদিও হতাহতের সংখ্যা নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সরকার। গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানের দক্ষিণাংশের পাকতিকা প্রদেশে আকাশ পথে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানের বায়ুসেনা। পাক সেনার নিশানায় ছিল মূলত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান গোষ্ঠীর ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকারের অভিযোগ, তালিবান মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই দিন তালিবানের জঙ্গি ঘাঁটিতে পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপরেই পাকিস্তান হুমকি দেয় অবিলম্বে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে তার ফল ভুগতে হবে বলে তালিবান প্রশাসনকে।
বাংলাদেশ বহু ক্ষেত্রেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারত বাংলাদেশের 'গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী'। তাই, এমন কিছুই করা হবে না, যেটা ভারতের...
Read more
Discussion about this post