প্রাথমিক টেট নিয়ে অভিযোগের লম্বা তালিকা ছিল রাজ্যে। বেনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে কার্যত বন্ধ ছিল প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। অনেক মামলা-মোকদ্দমার পর ২০২২ সালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পাঁচ বছর পর টেট পরীক্ষা হল ওই বছরের ডিসেম্বরে। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল টেট নিয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না। প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই কথা রাখতে পারল না পর্ষদ। এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘আমরা আগে দ্রুত নিয়োগ করব। তারপর পরীক্ষা নেব।’ ২০২২ এবং ২০২৩ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেট হয়। নিয়ম মেনে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সেই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেক বছর টেট গ্রহণ করা। পর পর দু’বছর আমরা তা করেছি। কিন্তু দু’বছরে যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে তাঁদের নিয়োগই এখনও শুরু হয়নি। তাই টেট এ বছরে না হলেও কিছুটা পিছিয়ে তা ছ’মাসের মধ্যে গ্রহণ করা হবে।’ মূলত, আইনী জটিলতার জেরেই যে টেট হচ্ছে না, তা বোঝা গেল পর্ষদ সভাপতির কথায়। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর নিশানা, তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে চাকরি বাতিল হওয়া, পরীক্ষা হওয়াই ভবিতব্য। নতুন কিছু নয়। ২০২২ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হন প্রায় দেড় লক্ষ। এর পরের বছর ২০২৩ সালে ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার জন। পরীক্ষার পর বছর ঘুরতে চললেও এখনও ফলপ্রকাশ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এ দিকে পরীক্ষা না হলে স্বাভাবিক ভাবে ডিএলএড পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তবে পর্ষদ সভাপতি আশ্বাস দিয়েছেন, ছ’মাসের মধ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেট অনুষ্ঠিত হবে।
ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার আর ব়্যাগিং নয়, কাঠগড়ায় অধ্যাপক। পরীক্ষার খাতায় বেনিয়মের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, খাতা না দেখে নম্বর...
Read more
Discussion about this post