নৈরাজ্যের বাংলাদেশে দিকে দিকে আক্রান্ত হিন্দুরা। বাংলাদেশ জুড়ে চূড়ান্ত অশান্তি। হিন্দু মহল্লায় আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। হিন্দু পাড়ায় চলছে আক্রমণ, লুঠপাট। মৌলবাদীদের হুমকিতে প্রাণভয়ে সিঁটিয়ে সে দেশের সংখ্যালঘু সমাজ। মিছিল করে গিয়ে বাংলাদেশের দিকে দিকে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। এর আগেও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইসকনের মন্দিরে হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। এবার ঢাকায় ইসকনের আরও একটি মন্দিরে হামলা কট্টরবাদীদের। পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরে।এবার বাংলাদেশের আরও এক মন্দিরে মৌলবাদীদের হামলা। রাজধানী ঢাকার অদূরে ধর গ্রামে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর সূত্রের। ঢাকা থেকে উত্তর দিকে অবস্থিত ওই গ্রামের মহাভাগ্য লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। গভীর রাতে প্রায় ২টো থেকে ৩টের মধ্যে মন্দির আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রাধারমণ দাসের। মন্দিরের টিনের চালে পেট্রল জাতীয় তরল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। ঢাকার তুরাগ থানার অধীনস্ত ওই এলাকা। মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় লক্ষ্মী নারায়ণের মূর্তি-সহ একাধিক সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ রাধারমণ দাসের। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে হামলার কথা জানান কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। দেবদেবীদের মূর্তি ও মন্দিরের একাংশে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “হিন্দু মন্দিরে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক মূর্তি। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের উপর লাগাতার আক্রমণ চালানো হচ্ছে বাংলাদেশে।” এক সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর অভিযোগ ঢাকায়। নামহট্টের আরও একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সম্প্রতি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। হিন্দু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর থেকে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়। ইসকনের একাধিক সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মন্দিরে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে অন্তবর্তী সরকারের। মৌলবাদীদের বাড়বড়ন্ত- জঙ্গিদের তৎপরতা বন্ধ না করে বাংলাদেশের গৃহযুদ্ধ চলছে। ভারত বিরোধিতায় ইউনুস সরকারের মতোই মাঠে নেমে খেলছে বিএনপি। যদিও নির্বাচন নিয়ে বেধে গিয়েছে ‘গৃহযুদ্ধ’। বৃহস্পতিবার ফের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাল খালেদা জিয়ার দল। এদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপ করা যাবে না। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার বেশি দরকার নেই। কার্যত অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সরে যাওয়ার বার্তা দেন বিএনপি মহাসচিব। বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ভোটে আরও দেরি হলে আফগানিস্তান হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশে, গুরুত্ব হারাতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি, এই আশঙ্কায় গলা চড়াচ্ছে বিএনপি।
Discussion about this post