আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কলকাতা কতটা ফুঁসে উঠতে পারে তা ১৪ তারিখ রাতে দেখেছে গোটা বিশ্ব। ২৭ অগস্ট আরজি কর কান্ডে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ছাত্র সমাজ। তবে কোন ছাত্র সমাজ তার কোনও রাজনৈতিক দল স্পষ্ট ভাবে এই ঘোষণা করেনি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়ে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল এই নবান্ন অভিযান নিয়ে ঘোর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সুপ্রিম কোর্টে সুরাহা চান রাজ্যের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট বার্তা আমরা বলে দিয়েছি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা দেওয়া যাবে না। আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কলকাতা সহ সারা বাংলা কতটা ফুঁসে উঠতে পারে তা স্বাধীনতার দিন মধ্য রাত্রে দেখেছে গোটা বিশ্ব। রাত দখল নিয়েছিল বাংলার মেয়েরা। যার জেরে গোটা দেশ তো বটেই গোটা বিশ্বকে আরজি করে কান্ডের প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে। এই আবহেই এবার ২৭ অগস্ট, মঙ্গলবার নবান্ন চলোর ডাক দিয়েছে ছাত্র সমাজ। শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “এই ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২৭ তারিখ একটা প্রতিবাদ মিছিল রয়েছে। যদি কোনও প্রতিবাদ মিছিল হয়, তাহলে রাজ্য সরকারকে যেন বলা হয় কোন রুটে এই মিছিল হবে।
একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর থাকতে হবে।” রাজ্যের আইনজীবী আরও বলেন, “ওরা পতাকা নিয়ে যায়, কিন্তু পতাকা খুলে নিলেই তো সেটা লাঠি হয়ে গেল। আমাদের কাছে ছবি আছে। তাই আদালতের কাছে আর্জি যে, রাজ্য সরকারের পেশ করা স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখা হোক। এবং একটা নির্দেশ দিয়ে বলা হোক যেন এসওপি অনুসরণ করা হয়।” মধ্যাহ্নভোজের পর ফের শুনানি শুরু হতেই, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ রাষ্ট্র তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে বন্ধ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়, অ্যাসিড বোমা ব্যবহার করার কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইন নিজের পথে চলবে। আমরা বলে দিয়েছি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা দেওয়া যাবে না।”
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ছে নানা মিছিল। সামিল হচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পথে নামেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।
Discussion about this post