বুধবারও ঝুলে রইলো ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমার পূজার ভবিষ্যৎ। বৃহস্পতিবার জেলা শাসক ও কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে পূজার ভবিষ্যৎ। প্রাথমিক ভাবে জেলা শাসককেই পূজার অনুমতি নিয়ে সিদ্ধান্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। বাংলাদেশ সীমান্ত লগোয়া রানাঘাট মহকুমার কামালপুর অভিযান সংঘের ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমার পুজো। দুর্গাপুজোর আয়োজন প্রায় সম্পূর্ণ করার পথে উদ্যোক্তারা। এদিন শুনানিতে পূজার আয়োজকদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ইউনেস্কো, গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডকে জানানো হয়ে গেছে সংগঠকরা ১১২ ফুটের লম্বা দূর্গা পুজা করছে। ঐ দুই সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়টিও তারা সংগঠকদের জানিয়েছেন। এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এতে অনুমতি দেওয়া যাবেনা। বিচারপতি প্রশ্ন, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ?বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ৫৫ বছর ধরে তারা ঐ স্থানে পূজা করছেন। বিদ্যুৎ ও দমকল বিভাগের অনুমতি পাওয়া গেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনে গত জানুয়ারি মাসে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোন উত্তর না আসায় ফের ৩ সেপ্টেম্বর জেলা শাসকের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন জেলা শাসক দফতর পক্ষ থেকে অনুমোদনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে কি? এরপরই রাজ্যের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধায় বলেন, ২০১৫ সালে দেশপ্রিয় পার্কের পুজায় একইরকম ভাবে ১০০ ফুটের বড় দূর্গা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পদপিষ্টের ঘটনায় সেই পূজা বন্ধ করতে বাধ্য হতে হয়। এখানেও যে জায়গায় পূজার অনুমতি চাওয়া হয়েছে তার প্রবেশ পথ অত্যন্ত সংকীর্ণ। মাত্র ১৪ ফুটের রাস্তা রয়েছে। ফলে প্রশাসন দেশপ্রিয় পার্কের মত ঘটনার আশঙ্কা করছে। দর্শকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রশাসনকে অনুমতি দিতে হয়। মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়। যে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে কি হবে? বিচারপতি বলেন, প্রশাসনের আশঙ্কার বিষয়টি আদালত গুরুত্ব দিচ্ছে কিন্তু সংগঠক দের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত সংগঠকদের জানানো আবশ্যিক কর্তব্য। আদালতের নির্দেশ বৃহস্পতিবার বেলা ২ টোর মধ্যে জেলা শাসককে অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংগঠকদের জানাতে হবে। বৃহস্পতিবারই তারপর এই মামলার শুনানি করা হবে জানিয়েছেন বিচারপতি।
বই প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। ২৮ বছর পর কলকাতা বইমেলায় নাও থাকতে পারে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন। এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবার। কারণ...
Read more
Discussion about this post