দক্ষিণে বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতে শুরু করে দিয়েছে। উত্তরেও প্রবল বর্ষণ। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়েছে। শনিবার সকালেই পুরীতে স্থলভাগে ঢুকে ছত্রিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাবে নিম্নচাপ বলয়। তার ফলে কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুরু হওয়া বৃষ্টি ২২ জুলাই পর্যন্ত চলবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে রাজ্যে আজ এবং আগামীকাল ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উড়িষ্যার পুরী উপকূলে অবস্থান করছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা স্থলভাগেও প্রবেশ করবে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় এটি শক্তি ক্ষয় করে পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে ছত্রিশগড়ের দিকে চলে যাবে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্রে ও উপকূলে ৪৫ থেকে ৫৫ এমন কি সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূল-সহ উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে রবিবার বিকেল পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে শনিবার সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। ২১ জুলাই রবিবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। মূলত সারাদিন মেঘলা আকাশ এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা । কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রপাতের আশঙ্কাও থাকছে।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান। তবে সোমবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি।
উত্তরবঙ্গে শনিবার ভারী বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে। বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
রবিবার বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি পার্বত্য পাঁচ জেলাতে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। কলকাতায় বৃষ্টি চলবে। হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।
বৃষ্টির আগে ও পরে জলীয়বাষ্প এর দরুন আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বহাল থাকবে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী গতকাল রাতের তাপমাত্রা ২৮.৮ থেকে কমে ২৭.৬ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছিলো। গতকাল দিনের তাপমাত্রাও ৩৩.২ থেকে কমে ৩২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বনিম্ন ৭৪ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ।
Discussion about this post