আগেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। সেই মতো আজ, মঙ্গলবার কলকাতার রেড রোডে আয়োজিত হবে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। রেড রোডের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্যের অনেক নেতা-মন্ত্রী, বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং বিদেশি অতিথিরা থাকবেন।একইদিনে আবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ডাক্তারদের তরফ থেকে দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। একইদিনে দুই কর্মসূচি। আর এ সবের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের কার্নিভাল বয়কট করে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছেন।জানা যাচ্ছে, অশান্তির আশঙ্কা করছে কলকাতা পুলিশ। বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর পর কার্নিভালের আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের নানান জেলায় এই কার্নিভাল আয়োজিত হয়। বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর তরফ থেকে ‘কালচারাল হেরিটেজ’ তকমা পাওয়ার পর থেকেই এই কার্নিভাল শুরু হয়েছে। তবে চলতি বছর ব্যাপারটা আলাদা। এবার পুজোর মধ্যে মিশে রয়েছে বিষাদের সুর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল চারটে থেকে রেড রোডে পুজো কার্নিভাল শুরু হবে। কার্নিভাল শেষে প্রতিমাগুলিকে নিরঞ্জনের জন্য গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট ৯১টি পুজো কমিটি কার্নিভালে অংশ নেবে। প্রায় ২৮ হাজার আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়েছে। এবছর রেড রোডে জমিদার বাড়ির আদলে তৈরি হয়েছে মূল মঞ্চ। প্রতিবারের মতো সেখানেই বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিশিষ্ট অতিথিরা। মূল মঞ্চের উল্টো দিকে ভিভিআইপি মঞ্চ থাকলেও সেখানে এ বার কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। ডোনা গাঙ্গুলীর নৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে কার্নিভাল। যেহেতু আজ শহরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে ফলে করা নিরাপত্তা দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। রেড রোডের চার পাশে মোট ৫০০ জন পুলিশকর্মী থাকছেন। নিরাপত্তার তদারকি করবেন ১৬ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক এবং ৮ জন জয়েন্ট সিপি। সরকারি আমন্ত্রণপত্র ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার আগে প্রত্যেককে কড়া তল্লাশি করা হবে। ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি চলবে। এছাড়াও রেড রোড ও তার আশেপাশের বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে থাকছে ২০০০ পুলিশ কর্মী। চারটি ওয়াচ টাওয়ার বানানো হয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, রানী রাসমণি রোড, নিউ রোড, ওয়াই চ্যানেল, আউটরাম রোড, মেয়ো রোড, জওহরলাল নেহেরু রোড, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, স্ট্র্যান্ড রোড, কুইনস ওয়ে-র বেশ কিছু রাস্তায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উপলক্ষ্য ছিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা। কিন্তু মুর্শিদাবাদে যা হল সেটা তার থেকেও বড় কিছু। যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন...
Read more
Discussion about this post