ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ক্ষমতায় এসেছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে এমন একটা সময়ে, যখন দীর্ঘ স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রায়, আইনশৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় লুণ্ঠনে অর্থনীতিও বিপর্যস্ত। অন্যদিকে হাসিনার ক্ষমতা অবসানের পর মানুষের মধ্যে জেগে উঠেছে রাষ্ট্র সংস্কার ও অর্থনীতি পুনর্গঠন করে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের ব্যাপারে বিপুল আশা ও উদ্দীপনা। অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা তাই অনেক, যা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সভা-সেমিনার, মিছিল-সমাবেশ, সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনার মধ্য দিয়ে উঠে আসছে। বাংলাদেশে ডাল-পালা মেলছে হিন্দু বিদ্বেষের বীজ। প্রতিদিনই চলছে হিন্দুদের উপর নির্যাতন, ভারত বিরোধী স্লোগান। ইসকনকে উপড়ে ফেলার ডাক দেওয়ার পর কলকাতা দখল। ফের ঢাকার রাজপথ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছুঁড়ল বিএনপি। কিছুতেই কমছে না ভারত বিদ্বেষ। এবার ভারতকে যুদ্ধের হুমকি বাংলাদেশের। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতিনিয়ত টার্গেট করা হচ্ছে। সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘু অত্যাচারের বিষয়ে নীরব। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিল বাংলাদেশ। দেশবাসীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ডাক দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মহড়া হিসাবে সকল ছাত্র সমাজকে রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ঢাকার এক সভা থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে এইভাবেই হুঙ্কার ছোঁড়েন তিনি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক জনসভায় হাজির হন বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ। সেখানে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ছাত্রকে বেসিক মিলিটারি ট্রেনিং আমরা দেব। আমাদের দিকে যাতে কেউ রক্তচক্ষু না দেখাতে পারে তাই এটা দরকার। আমরা যুদ্ধ করে তৈরি হয়েছি। চিরকাল জয়ী হবে বাংলাদেশের মানুষ। সবাইকে এমন ট্রেনিং দেওয়া হবে যাতে বিশ্বের কোনও শক্তি বাংলাদেশকে পায়ের নিচে রাখতে পারবে না।’ উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ভারতের সহযোগিতায় নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ভারতকেই বর্তমানে সবচেয়ে ‘বড় শত্রু’ মনে করে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতার গতকালের মন্তব্য যে নাম না করে ভারতের উদ্দেশেই করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এবার সংসদে উঠল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বললেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশ নিজের স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেবে। এ দিন লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদেশমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ দিন সংসদে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসি। তার জবাবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। নতুন সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।” এ দিন লোকসভায় বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, তা উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংখ্যালঘুদের উপরে একাধিক হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আশা করি, বাংলাদেশ নিজের স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া অত্যাচার আটকাবে।”
বাংলাদেশের পূর্ব প্রান্তের দেশ মিয়ানমার। যেখানে এখন চলছে তীব্র গৃহযুদ্ধ। একদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অন্যদিকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এমন মোট ৮টি...
Read more
Discussion about this post