মুহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর যে আলোচনা সামনে আসছে সেটি হচ্ছে, এই সরকারের মেয়াদ কতদিন থাকবে। বাংলাদেশের সংবিধান কিংবা কোন আইনে এই সরকার ও এর মেয়াদ সম্পর্কে কিছুই বলা নেই। যে কারণে সরকারের মেয়াদ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার নতুন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সরকারের মেয়াদ নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিকদের সাথে। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করার জন্য যতদিন থাকার দরকার হবে, অন্তর্বর্তী সরকার ততদিন থাকবে”। গত দুই দিনে নতুন সরকারের আরো দু’জন উপদেষ্টা এনিয়ে কথা বললেও তাদের মেয়াদ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। এই ধরনের সরকার কাঠামো সংবিধানের কোথাও নেই, যে কারণে তাদের মেয়াদের কথা কোথাও বলা নেই। আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, “যখন ওনাদের মনে হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি হয়েছে তখন ওনারা নির্বাচনের ঘোষণা দিবেন। তার আগে এই সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোন ধারণা পাওয়া যাবে না”। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন নির্বাচন যাতে আগামী আঠার মাসের মধ্যে হতে পারে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করতে ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন’ তিনি মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবেন। তার মতে দেড় বছরের মধ্যেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত এবং সেনাবাহিনী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। একই সাথে তার এ সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য এবং সশস্ত্র বাহিনীকে প্রেসিডেন্টের অধীনে নেয়ার ধারণা উঠে এসেছে। বাংলাদেশে তীব্র গণআন্দোলনের মুখে গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের বিদায়ের পর সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন ইউনূস। তারপর থেকে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুততর সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসছে। তবে সরকারের দিক থেকে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, পুলিশসহ ছয়টি বিষয়ে সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। এসব কমিশন পহেলা অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা। সেনাপ্রধান আঠার মাসের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে তারা মনে করেন নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই হওয়া উচিত। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই হওয়া উচিত। নির্বাচন যত দ্রুত হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে। তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। সেজন্যই নির্বাচনের দরকার। অন্যদিকে সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে দলের সভায় পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। তবে কবে ইউনুস সরকার বিদায় নেবে? এই প্রশ্ন তাকে সরাসরি করা হলে খোদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই জানিয়ে দেন ‘এই বিষয়টা আপনাদের ওপরে। আপনারা কবে আমাদের বিদায় দেবেন। আমরা কেউ দেশ শাসনের মানুষ নই আমরা নিজে নিজে বাসায় আনন্দ পাই। দেশের সংকটকালে ছাত্রদের আন্দোলনে আমরা এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে দায়িত্ব পালন করব’।
বাংলাদেশের পূর্ব প্রান্তের দেশ মিয়ানমার। যেখানে এখন চলছে তীব্র গৃহযুদ্ধ। একদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অন্যদিকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এমন মোট ৮টি...
Read more
Discussion about this post