কথা ছিল দুপুর ২টো নাগাদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে আর জি কর মামলা। কিন্তু পরে ঠিক হয় দিনের শেষ মামলা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার শুনানি হবে। সেই মতো সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ শুরু হয় বহু প্রতিক্ষিত শুনানি। এদিন শুনানির শুরুতেই নির্যাতিতার পরিবারের নবনিযুক্ত আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নির্যাতিতার নাম ও ছবির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। আদালতে তিনি দাবি করেন, নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের ছবি সমাজমাধ্যমে এখনও সরানো হয়নি। এই বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে একটি চিঠিও আদালতে জমা করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, আমরা আগেই এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলাম। তখন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এটি রাজ্যের দেখা উচিত। নির্দিষ্ট করে কোথায় পোস্ট হচ্ছে সেই বিষয়ে পরিবারের তরফে জানানো হলে বিষয়টি দেখা হবে। আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ দাবি করেন, বিষয়টি বন্ধ করার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হোক। এর অভিযোগ জানানোর জন্য ই-মেল আইডি চালু করার আর্জিও জানান তিনি। এরপর প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে দ্রুত একজন অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার নাম ও ছবি ব্যবহার করা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।
এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার তৃণমূলের বহিস্কৃত যুব নেতা-নেত্রীর তৈরি বিতর্কিত শর্ট ফিল্মের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, একটি শর্ট ফিল্ম প্রকাশ হওয়ার কথা ইউটিউবে। বিষয়টি অতি স্পর্শকাতর এবং বিচারাধীন। মামলাও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় এই ছবি প্রকাশ হওয়া কী উচিৎ? এই প্রশ্ন শুনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, আপনারা যদি এই শর্ট ফিল্মের রিলিজ আটকাতে চান, তবে আইনি পথেই ব্যবস্থা নিন। তবে সূত্রের খবর, আগামী ২ অক্টোবর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিস্কৃত নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং নেত্রী রাজন্যা হালদার জানিয়েছেন, এই আবহে তাঁরা এই শর্ট ফিল্ম রিলিজ করছেন না। আপাতত তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post