তৃণমূল সরকার আসার পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন আন্দোলনে প্রথম সারিতে দেখা যেত প্রান্তিক চক্রবর্তীকে। কলেজ পাড়ায় প্রেসিডেন্সিতে এসএফআই বনাম তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে ২০২৩ এর একুশে জুলাই মঞ্চে অবিশ্বাস্য, দাপটে ভাষণ দিয়ে সকলের মন জয় করেছিল রাজন্যা হালদার। আর তারপর থেকেই এই দুই মুখ সমাজের অনেকটাই পরিচিতি লাভ করে। তবে মহালয়ার দিন “আগমনী” শর্ট ফিল্ম তৈরি করতে গিয়ে দলের থেকে দশমীর বিদায় বেলা হয়ে গেল এই দুই ছাত্র নেতার। প্রান্তিক ছিলেন ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি এবং রাজন্যা ছিলেন যাদবপুর ডায়মন্ড হারবার তৃণমূল পরিষদের সহ-সভানেত্রী।
সিনেমা তৈরিতে দলের কিসের রাগ?
শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে একটি শর্ট ফিল্মের পোস্টার রিলিজ করা হয়। যেখানে মহালয়ার দিন রাজন্যা হালদার অভিনয়ে এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীর পরিচালনায় মুক্তি পাচ্ছে একটি শর্ট ফিল্ম। এই শর্ট ফিল্মের পটভূমি তিলোত্তমাদের গল্প। আর তার জোরেই শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কমেন্টের লড়াই। এই বিষয় নিয়ে কুনাল ঘোষ তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে। যেখানে লেখা, ‘আরজিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি শর্ট ফিল্মের খবর এসেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।’ এবং শেষে লেখা, ‘যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখে, করা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা কে বলা হয়েছে।’
এরপরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য কড়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের পদচ্যুতি করেন।
এই বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে রাজন্যা বলেন, পার্টি কেন সাসপেন্ড করেছে সেটা পার্টি বলতে পারবে। তবে গল্পটা কি সেটা বলতে পারি। গল্পটা প্রত্যেক তিলোত্তমার এই সমাজের বুকে থাকা। এটি ক্ষমতায়নের গল্প বলবে যা নারী ও পুরুষের সত্যির জন্য হবে। এবং বলেন পার্টির সাসপেন্ডের পরবর্তী ধাপ ২ তারিখ যে শর্ট ফিল্মটা আসছে সেটাই উত্তর দেবে। অন্যদিকে এই ঘটনার পর হঠাৎ করেই কুনাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রান্তিক চক্রবর্তী। কথাবার্তা হওয়ার পর হঠাৎ করেই রবিবারে যে মিউজিক ভিডিও লঞ্চের কথা ছিল তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। তবে এখনো জল্পনা মহালয়ার দিন শর্ট ফিল্ম রিলিস নিয়ে। তবে এই বিষয়ে দুই নেতাই মুখ খুলতে চাইনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
তবে এসবের মাঝখানে একটা খটকা থেকেই যাচ্ছে। রাজনীতি নিজের জায়গায় শিল্পসত্ত্বা নিজের জায়গায়। সেখানে কি শিল্পীদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বারবার যে অভিযোগ তোলা হয় টলিপাড়ায়, যে অন্য দল করায় কাজ কম। সেই অভিযোগ কি তাহলে সত্যি?
Discussion about this post