রাজনৈতিক পালাবদলের পর বাংলাদেশের প্রশাসন এবং বিদেশ মন্ত্রকে ব্যপক রদবদল চলছে। এই আবহেই এবার ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অবিলম্বে দেশে ফেরার নির্দেশ দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে।
২০২২ সালের জুলাই মাসে দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিদেশ ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের দুঁদে আধিকারিক মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনিই ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়া দিল্লির যোগাযোগ রক্ষাকর্তা। এবার তাঁকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। কূটনৈতিক মহলের দাবি, এবার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের জন্য জোরদার প্রস্তুতি শুরু করতে পারে মুহাম্মদ ইউনূস সরকার। আর সেই প্রচেষ্টার অঙ্গ হিসেবেই দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর জায়গায় নিজেদের পছন্দের কোনও আমলাকে পাঠানো হতে পারে। যাতে তিনি সফলভাবে ভারতের সঙ্গে দৌত করতে পারেন।
মঙ্গলবার ১ অক্টোবরই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে চিঠি পাঠিয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান বলা হয়েছে আপনাকে সদর দফতর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় বদলির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আপনার বর্তমান দায়িত্ব ত্যাগ করে অবিলম্বে সদর দফতর ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে শুধু ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নয়, আরও চার রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাঁরা হলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, ব্রাসেলসের (বাংলাদেশ দূতাবাসের মাহবুব হাসান সালেহ, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী। এবং পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।
Discussion about this post