.
: দেশের দুই কিংবদন্তি কোচ প্রদীপ বন্দোপাধ্যায় ,অমল দত্তর কোচিংয়ে খেলেছেন তিনি। শুধু খেলেছেন নয় দাপটের সঙ্গে খেলেছিলেন। চিমা ওকোরির সঙ্গে সংঘর্ষে পায়ে মারাত্মক চোট না পেলে শংকরলাল চক্রবর্তীর ফুটবল ক্যারিয়ার আরো অনেকটাই লম্বা হতো। বরানগরের সেই শঙ্করলাল কোচ হিসাবে এখন ফিরিয়ে আনতে চান ফেলে আসা বাঙালিয়ানা ।”সহকারি নয়, অদূর ভবিষ্যতের আই এস এল এর প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেব আমি”। সেটা হলে আইএসএলের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম বাঙালি চিফ কোচ। গতবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আই এস এলে উঠেছিল পাঞ্জাব এফসি। দ্বিতীয়বারই চমক দিচ্ছে তারা। এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচের তিনটেই জয় পেয়েছে পাঞ্জাব। দাপিয়ে খেলছে টিম। তার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টে শঙ্ককলালের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। পাঞ্জাব থেকে শংকর বলছিলেন, “প্রথমবার আমরা অনেক কিছু শিখেছি। অভিজ্ঞতা বেড়েছে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবার ভুল শুধরে নিতে পেরেছি আমরা। যদিও লিক এখন সবে শুরু। তবে নিজের ফুটবল জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি শুরুটা ভালো হলে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায় “। আইএসএলের শঙ্ককলাল ছাড়াও আরো একজন বাঙালি খোঁজ রয়েছেন তিনি মোহনবাগানের সহকারী কোচ বাস্তব রায়। তবে ,শঙ্কর অতীতে মোহনবাগানের মতো ক্লাব এর চিপ কোচের দায়িত্বে ছিলেন। সাফল্য এনে দিয়েছেন টিমকে। ভবানীপুরেও কোচিং করিয়েছেন ।ইস্টবেঙ্গলের অফার পেয়েছিলেন। সেখান থেকে আবারও কেন সহকারি কোচে ফেরা? শঙ্করের উত্তর, “জীবনের সব কিছুই প্রয়োজন । মোহনবাগান কোচ হিসেবে যেমন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তেমনি এখানে পাঞ্জাব টিমের সঙ্গে থেকেও শিখেছি অনেক কিছু ।এখানে বিদেশী কোচেরা রয়েছেন। সব কিছু থেকেই শেখা যায়”। তবে সহকারিতে আটকে থাকতে চান না শঙ্করলাল ।তার স্পষ্ট কথা “আমি আইএসএলের চিপ কোচ হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছি,। সেটা নিশ্চয়ই করতে পারব”।
Discussion about this post