প্রবল বেগে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ডানা। এই আশঙ্কায় কাঁপছে শ্রীক্ষেত্র পুরী। দুর্গাপুজোর শেষ এবং কালীপুজোর আগে, এই সময়টাই বাঙালি পর্যটকদের কাছে বেড়ানোর সেরা সময়। তাই বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় সৈকত শহর তথা ভগবান জগন্নাথের শ্রীক্ষেত্র পূরীতে ঠাঁইনাড়া অবস্থা। এই আবহেই বঙ্গোপসাগরে জাল বিস্তার করছে ঘূর্ণিঝড় ডানা। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুরী থেকে পর্যটকদের সরানো শুরু করেছে ওড়িশা সরকার।
দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর মধ্যবর্তী সময়েই বাঙালি পর্যটকরা মূলত ঘুরতে যান। আর বাঙালিদের প্রথম পছন্দের তালিকায় পুরী থাকেই। ফলে এই মুহূর্তে পুরীতে পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। এই আবহেই পুরীতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। এই আবহে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না ওড়িশা সরকার। বুধবার সকালের মধ্যে পুরী ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী আবেদন করেছেন, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর যেন কেউ পুরীতে না আসেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পুরীর প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। যারা বাড়ি ফিরতে চাইছেন, তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর যারা এই সময় পুরী যাবেন বলে টিকিট কেটে বসে আছেন তাঁদের মাথায় হাত।
অপরদিকে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ওড়িশার পুরী ও বাংলার সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ডানা। ল্যান্ডফলের সময় তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। ফলে এর মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিতে চাইছে ওড়িশার সরকার। ইতিমধ্যেই ওড়িশায় সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ও কলেজে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১টি দল মোতায়েন করা হয়েছে ওড়িশার উপকূলীয় এলাকাগুলিতে। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে সেনা, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষা বাহিনীকেও।
Discussion about this post